কেন উইলিয়ামসনের দুঃশ্চিন্তায় বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি
২৭ জুন ২০২০ ১৭:০২
ইউরোপের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ক্রমেই কমছে। তবে বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটা উল্টো। দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের মতো বাংলাদেশেও যেন দিন দিন বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। রাজধানী ঢাকা বা ঢাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের কথায় উঠে এলো বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির কঠিনতম দিক।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন উইলিয়ামসন। তার সঙ্গে আরও তিন ক্রিকেটার হেনরি নিকোলস, সোফি ডিভাইন ও ড্যানি কার্টারও যোগ দিয়েছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির উদাহরণ টেনেছেন ইউনিসেফ দূত উইলিয়ামসন।
মাসখানেক আগে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুক লাইভ আড্ডায় যুক্ত হয়েছিলেন উইলিয়ামসন। সে সময় তামিমের সঙ্গে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিষদ আলোচনা হয়েছে নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের। তাতেই জেনেছেন ভাইরাসটি কতোটা প্রভাবিত করেছে এই দেশকে।
উইলিয়ামসন বলেন, ‘সম্প্রতি জুম অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ হয়েছে আমার। এরপর আমি বুঝতে পেরেছি যে তার দেশের পরিস্থিতি কতটা কঠিন। বাংলাদেশের মতো জনবহুল একটি দেশে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ভাইরাসটিকে দূরে রাখা কষ্টকর।’
বাংলাদেশ নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতাও আছে উইলিয়ামসনের। ক্রিকেট খেলতে বেশ কযেকবার এসেছেন। তা থেকেই বুঝে গেছেন এই দেশের কন্ডিশন মোটেও সুবিধার নয়, ‘বাংলাদেশের কন্ডিশন অনেক খারাপ। আমি সেখানকার গরম এবং আর্দ্রতার কথা ভুলব না। আমি যখন প্রথম বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলাম তখন এর অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটি ছিল একটি ক্ষুদ্র সতর্কবার্তা নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে।’
উইলিয়ামসন বলেন, ‘ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। যার মধ্যে সেরা ব্যাপার হলো আমি সুযোগ পেয়েছি বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার। মহামারির সময় আমি কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, কি অবস্থা এসব নিয়ে আলাপ করেছি।’