অধিনায়ক দ্রাবিড়ের প্রসংশায় ইরফান
২৯ জুন ২০২০ ০১:২২
ভারতের সফলতম অধিনায়কের আলোচনা উঠলে মহেন্দ্র সিং ধোনি, কপিল দেব, সৌরভ গাঙ্গুলিদের নামই সবার আগে আসে। ভারতকে দুটি বিশ্বকাপ (একটি ওয়ানডে, একটি টি-টোয়েন্টি) জিতিয়েছেন ধোনি, কপিল প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। সৌরভ গাঙ্গুলী বিশ্বকাপ জেতাতে না পারলেও আজকের ভয়ডরহীন ভারতীয় দলের রূপকার তিনিই। ভারতের সফল অধিনায়ক আলোচনায় মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন বা হালের বিরাট কোহলির নামও আসে। কিন্তু রাহুল দ্রাবিড়কে কেন এই কাতারে ফেলা হয় না এই প্রশ্ন ইরফান পাঠানের।
গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে বিবাদের জের ধরে ২০০৫ সালে ভারতের নেতৃত্ব ছাড়েন সৌরভ গাঙ্গুলি। ভারতীয় দলের তখন বেহাল দশা। বলা হচ্ছিল ভারতীয় দলের ড্রেসিং রুমে বিভক্তি সৃষ্টি করেছিলেন চ্যাপেল। সেই কঠিন সময়ে নেতৃত্ব নিয়ে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন রাহুল।
তার নেতৃত্বে ৭৯ ওয়ানডে খেলে ৪২টিতেই জিতেছিল ভারত। ২৫ টেস্ট খেলে জিতেছিল ৮টিতে। ওয়ানডেতে সাফল্যের হার ৫৬ শতাংশ, টেস্টে ৩২ শতাংশ। তারপরও দ্রাবিড়ের নেতৃত্ব স্মরণ না করার বিষয়টি মানতে পারেন না ইরফান।
সম্প্রতি ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে ইন্সটাগ্রামের এক লাইভ ভিডিও শোতে ভারতের সাবেক তারকা পেসার বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে কম মূল্যায়িত ক্রিকেটার হচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়। সে অসাধারণ এক অধিনায়ক ছিলেন। দলের খেলোয়াড়দের কার কাছে তিনি কী চান, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল তার। একেক জন অধিনায়ক একেক ভাবে ভাবেন। রাহুলেরও নিজস্ব একটা ভাবনা ছিল। তবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার সংযোগটা দারুণ ছিল।’
২৮ বছরেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে যাওয়া ইরফান অনেকদিন খেলেছেন দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে। অধিনায়ক দ্রাবিড়ের পেস আক্রমণের বড় ভরসা ছিলেন তিনি। নতুন বলে নিয়মিত সাফল্য এনে দিতেন। ২০০৩ সালে অভিষেকের পর ভারতের হয়ে ২৯ টেস্ট, ১২০ ওয়ানডে ও ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ইরফান।