লঞ্চডুবিতে হতাহতদের জন্য মন কাঁদছে সাকিব-মুশফিকদের
৩০ জুন ২০২০ ১৪:৩২
সোমবার (২৯ জুন) বুড়িগঙ্গায় ঘটে গেল ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা। বুড়িগঙ্গার সদরঘাট এলকায় বড় লঞ্চের আকষ্মিক ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় মর্নিং বার্ড নামের একটি ছোট লঞ্চ। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য কাটা ঘায়ে নতুন ক্ষতের সৃষ্টির মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপে কয়েক মাস ধরে পুরো বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও বড় বিপদে।
একদিকে দিনকে দিন করোনায় মৃত্যু আর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে অন্য দিকে অর্থনীতির চাকা ধীর গতির হচ্ছে। কঠিন এই সময়ে লঞ্চডুবির ঘটনাটি মানতে পারছেন না কেউই। মর্মান্তিক ঘটনায় মন কাঁদছে তারকা ক্রিকেটারদেরও। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেনরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোকের কথা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনা কবলিতদের জন্য দোয়াও করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিব আল হাসান নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘প্রতিটি শোক সংবাদ হতাশার, বেদনার। গত চারমাস ধরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মানুষ চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশে। এর মধ্যে আজ আবার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে লঞ্চ ডুবে এখন পর্যন্ত ৩২ জন মানুষের প্রাণহানী এবং এখন পর্যন্ত বেশ কিছু যাত্রী নিঁখোজ রয়েছে। তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে চারপাশ। সত্যি বলতে আমি কোন ভাবেই নিজেকে শান্তনা দিতে পারছি না।’
‘পুরো পৃথিবীর এই ভয়ংকার ক্রান্তিকালে এমন দূর্ঘটনার কোন শান্তনা বা ব্যাখ্যা আমার জানা নেই। ভব্যিষতে এমন অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা আর একটি যেন না হয় এমন বাংলাদেশ দেখবার প্রত্যাশা করি। করোনা সব সকল দূর্যোগ কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। মাত্র ৩০ সেকেন্ড দূরের পথে থেকেও, সারাজীবনের জন্য পরোপারে পাড়ি জমানো সকল আত্বার প্রতি শান্তি ও সৃষ্টিকর্তার নিকট জান্নাত কামনা করছি।’
জাতীয় দলের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, ‘বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় নিরীহ মানুষদের প্রাণহানিতে আমি বিস্মিত ও শোকাহত। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এখনও পর্যন্ত ভালো বছর নয় এটি।’
অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন স্বজনদের শোক সামলে উঠার শক্তি কামনা করেছেন, ‘এসেছিলো স্বপ্নের নগরীতে বেঁচে থাকার আশায়। কে জানত নিজেরাই চলে যাবে স্বপ্নপুরিতে। অত্যন্ত হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা…বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবিতে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। হে মহান আল্লাহ আপনি সকল নিহতের পরিবারকে এই শোক সামলে ওঠার শক্তি দান করুন। আমিন।’