ব্রুনোর জোড়া গোলে দাপুটে জয় রেড ডেভিলদের
১ জুলাই ২০২০ ০৩:১০
করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী সময়েই যে দুর্দান্ত ফর্মে খেলা শুরু করেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, সেই ধারাবাহিকতায় ধরে রেখে করোনা পরবর্তী সময়েও। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১১টি ম্যাচ অপরাজিত ছিল রেড ডেভিলরা। মার্চে খেলা বন্ধ হওয়ার পর আবারও জুনে তিন মাস পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ায়। আর যেখানে থেমেছিল দুর্দান্ত ফর্ম, সেখান থেকেই যেন শুরু করল ওলে গানার শোলশায়ারের দল। বুধবার (১ জুলাই) ব্রাইটনের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয়ে তারই জানান দিল রেড ডেভিলরা। এই জয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ানোর পর টটেনহ্যাম হটস্পার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারও শুরু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যাত্রা। শুরুটা জয় দিয়ে না হলেও হার দিয়েও হয়নি। সাবেক কোচ হোসে মোরিনহোর দলের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে আসে মার্কাস রাশফোর্ডরা। এরপর শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় রেড ডেভিলরা। এরপর এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নরউইচ সিটিকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমি নিশ্চিত। আর তারপরেই ব্রাইটনের বিপক্ষে ব্রুনো ফার্নান্দেজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩-০ গোলের ব্যবধানে দুর্দান্ত জয় ইউনাইটেডের।
দ্য আমেরিকান এক্সপ্রেস কমিউনিটি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পল পগবা, নেমাঞ্জা মাতিচ এবং ব্রুনো ফার্নান্দেজকে নিয়ে গড়া মধ্যমাঠ। শেষ পর্যন্ত প্রায় ৬৩ শতাংশ বলের দখল রাখে ইউনাইটেড। আর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকা ইউনাইটেডের তাই তো গোলের দেখা পেতে বেশি সময় অপেক্ষাও করতে হয়নি। ম্যাচের মাত্র ১৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতরে অ্যারন ওয়ান বিসাকার কাছ থেকে দুর্দান্ত একটি বল পান মেসন গ্রিনউড, আর বল পেয়েই বাঁ পায়ে জোরালো শট নেন গ্রিনউড তাতেই বল চলে যায় জালে। আর ইউনাইটেড ম্যাচে ১-০ তে এগিয়ে যায়।
ম্যাচে এগিয়ে গিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে সফরকারীরা। মধ্যমাঠে জমে ওঠে পগবা-ব্রুনো জুটি। ডি বক্সের বাইরে পাওয়া বল চমৎকারভাবে পল পগবা পাঠিয়ে দেন ব্রুনোর কাছে। আর বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজ। বল পাঠিয়ে দেন, ম্যাচের ২৯ মিনিটেই দুই গোলে এগিয়ে ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে আর কোনো গোলে দেখা না পেলে ২-০’তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রেড ডেভিলরা।
বিরতি থেকে ফিরলেও আক্রমণের ধার এতটুকুও কমেনি রাশফোর্ড-মার্শিয়ালদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের ৫০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের ৩য় গোল করেন ব্রুনো। এবার অবশ্য বলের যোগানদাতা প্রথম গোলকারি মেসন গ্রিনউড। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে পগবা, ব্রুনো এবং লুক শকে উঠিয়ে নেন শোলশায়ার। আর এর ১৪ মিনিট পর অ্যান্থনি মার্শিয়াল এবং মার্কাস রাশফোর্ডকেও তুলে নেন রেড ডেভিল বস।
এরপর ৫০ মিনিটে ব্রুনোর ২য় গোলের পর অবশ্য আর গোলের দেখা পায়নি রেড ডেভিলরা। তাই তো ম্যাচ শেষে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে খুশি থাকতে হয়েছে পল পগবাদের। এই জয়ে লিগে নিজেদের স্থান পরিবর্তন না হলেও চেলসির সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমেছে শোলশায়ারের দলের। যদিও চেলসি এক ম্যাচ কম খেলে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে ৪র্থ স্থানে অবস্থান করছে। আর ব্রাইটনকে হারিয়ে ৩২ ম্যাচে ১৪ জয়, ১০ ড্র এবং ৮ হারে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৫ম স্থানে রেড ডেভিলরা।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে হলে ৪র্থ স্থানে শেষ করতে হবে লিগ। এর নিচে থাকলে খেলতে হবে ইউরোপা লিগ। তবে শোলশায়ারের চোখ ইউরোপের সর্বোচ্চ লিগ চ্যাম্পিয়নস লিগের দিকে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ পল পগবা মার্কাস রাশফোর্ড ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বনাম পার্টিজেন বেলগ্রেড