Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এনবিআরের তলবে বিব্রত জাতীয় শ্যুটাররা


৭ জুলাই ২০২০ ১৯:০৫

ঢাকা: বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশনে চলছে অস্থিরতা। সভাপতি-মহাসচিবদের দ্বদ্বের জের পড়েছে শ্যুটারদের উপর। অবৈধভাবে অস্ত্র আনার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তলবে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়েছে জাতীয় চার শ্যুটারকে। শ্যুটিং ফেডারেশনের দ্বন্দ্বের বলিতে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হতে হচ্ছে জাতীয় শ্যুটারদের।

২০১৭ সালে রাইফেল তৈরির প্রতিষ্ঠান ওয়ালথার থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া ৮টি রাইফেল নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন শ্যুটাররা। অথচ তিন বছর পর এক উড়ো চিঠির কারণে এই করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও এনবিআরে সাক্ষ্য দিতে যেতে হয়েছে জাতীয় শ্যুটারদের।

বিজ্ঞাপন

চার শ্যুটার আবদুল্লাহেল বাকী, অর্নব শারার লাদিফ, রাব্বি হাসান মুন্না ও রিসালাতুল ইসলাম রবিবার এনবিআরে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন। হেনস্তা করার জন্য ফেডারেশনের দ্বন্দ্বে জড়ানো এক পক্ষ এমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

জার্মানি থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে রাইফেল আনার অভিযোগ নিয়ে এনবিআরের তলবে চরম বিব্রত শুটার অর্নব শারার লাদিফ এক গণমাধ্যমকে জানান, ‘মূলত ডেনমার্কের কোচ ক্লাভস ক্রিস্টেনসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ওয়ালথার কোম্পানী আমাদের আটটি রাইফেল উপহার দেয়। যা আমরাই নিয়ে এসেছি। বিমান বন্দরে আমাদের রাইফেল দেখেছেন কর্মকর্তারা। তারা কিছুই বলেননি। আমরাও জানতাম না যে, এয়ার রাইফেলের জন্য ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ আজ আমাদের বলা হচ্ছে চোরাকারবারি। এটা একটি সুস্থ মানুষ কিভাবে বলতে পারে? আমরাতো দেশের তারকা ক্রীড়াবিদ। ১২ কেজি ওজনের চার ফুট লম্বা রাইফেল তো আর পকেটে পুরে আনা যায় না। উল্টো হ্যান্ডলিং চার্জ দিয়েছি। বিভিন্ন ট্রানজিট ঘুরেও এসেছি। অথচ কেউ কিছু বলেনি।’

বিজ্ঞাপন

তিন বছর পরে সেই বিষয়টা কেন সামনে আনা হচ্ছে সেটা নিয়ে বিব্রত অর্নব জানান, ‘আর এখন দেশের মাটিতে আমাদের ট্যাক্স দিতে হবে। দিতে হলে দিব। কিন্তু চোরাকারবারি কেন বলা হল। আমি ইয়ুথ অলিম্পিকে কোটা প্লেস করেছি এই রাইফেল দিয়ে খেলেই। দেশের জন্য এই সম্মানটা চোরাকারবারির মধ্যে পড়ে গেল না? এটা খুবই হতাশাজনক আমাদের জন্য’। তবে এনবিআরের জিজ্ঞাসাবাদে কী কথা হয়েছে, তা প্রকাশ করতে চাননি শ্যুটাররা।

জাতীয় শ্যুটার আবদুল্লাহেল বাকী তলব শেষে সাংবাদিকদের জানান, ‘তিন বছর পর এভাবে বিষয়টা এক্সপোজ করার কোন মানে হয় না। যারা এটা চাচ্ছে তারা শ্যুটিংয়ের ভাল চায় না।’

এ বিষয়ে শ্যুটারদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, ‘তদন্ত হওয়ার পরে ওরা যদি না বলে আমাদের এই সহযোগিতা দরকার তাহলে হেল্প করা কঠিন। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি শ্যুটারদের যাতে কোন ক্ষতি না হয়।’

ফেডারেশনের দুর্নীতি আর দ্বন্দ্বের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শ্যুটারদের পারফরম্যান্সে। গত এসএ গেমসে সম্ভাবনাময় শ্যুটিংয়ে কোন স্বর্ণ আসেনি। মীমাংসা হয়ে যেখানে শ্যুটিংয়ে সমাধানের বিষয়টি আসার কথা ছিল সেখানে বিষয়গুলো আরো ঘনীভূত হচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারেলস ফেডারেশন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জাতীয় শ্যুটার তলব বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশন বিব্রত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর