জেমির কোচিং সত্যিই ফলপ্রসু ছিল: সুফিল
৭ জুলাই ২০২০ ২০:০৭
ঢাকা: বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাকী মিশন শুরু হয়ে যাচ্ছে আগামী অক্টোবর মাসে। চারটি ম্যাচের তিনটিই হবে ঘরের মাঠে। এমন পর্যায়ে চুক্তি নবায়ন হয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে’র। তার অধীনে প্রাক বাছাই পেরিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল মঞ্চে বাংলাদেশ। এই ইংলিশ কোচের অধীনেই স্বতস্ফূর্ত ফুটবলাররা। এমনটাই জানালেন জাতীয় দলের ফুটবলার মাহবুবুর রহমান সুফিল।
সুফিল মনে করেন, জেমির অধীনে বিশ্বকাপের বাছাইয়ে ভাল পারফরম্যান্স করবে বাংলাদেশ। সঙ্গে দেশি কোচের সমন্বয়ে ভাল প্রস্তুতি নিবে ফুটবলাররা।
জেমির কোচিংয়ে গত দু’বছর উন্নতি করেছে বাংলাদেশ উল্লেখ করে সুফিল বলেন, ‘গত দুই বছর যাবত তার কোচিং সত্যিই ফলপ্রসূ ছিল। আমাদের সাথে তার খুব সহজেই বোঝাপড়া গড়ে ওঠে। আমরা সত্যি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। এই মহামারিতে আমরা যখন লকডাউনে তখনও আমরা খুব সহজেই ওয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাকে কাছে পাচ্ছি, আমাদের অসুবিধাগুলো তাকে জানাতে পারছি এবং তিনি আমাদের সাথে সেগুলো নিয়ে কাজও করছেন।’
এ যাবত জেমির অধীনে বাংলাদেশ ১৯ ম্যাচ খেলেছে। যেখানে জাতীয় দল ৮টিতে জয়, দুটিতে ড্র এবং ৯টিতে হেরেছে। অন্যদিকে তার অধীনে অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলেছে ১১টি ম্যাচ। যেখানে জিতেছে ৩টি, ড্র দুটি এবং হেরেছে ৬টিতে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মিশনে বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত স্বস্তিতে নেই। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে মিশন শুরু করে। এরপর ঢাকায় ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ কাতারের সঙ্গে লড়াই করে ২-০ ব্যবধানে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পায়। তৃতীয় ম্যাচে কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে নজর কেড়ে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে আশা জাগায়। চতুর্থ ম্যাচে গত বছরের নভেম্বরে ওমানের সঙ্গে ৪-১ ব্যবধানে সবশেষ ম্যাচটি হারে। চার ম্যাচে এখনও পর্যন্ত একটি পয়েন্ট অর্জন করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
পয়েন্ট পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকছে বাংলাদেশের সামনে। কেননা বাকী চার ম্যাচের তিনটিই ঘরের মাঠে। এএফসি ও ফিফার প্রস্তাবিত নতুন শিডিউলে অক্টোবরের ৮, নভেম্বরের ১২ ও ১৭ তারিখে বাংলাদেশের তিনটি হোম ম্যাচ যথাক্রমে আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের সঙ্গে। অ্যাওয়ে ম্যাচটি বাংলাদেশ খেলবে কাতারে ১৩ অক্টোবর। পাঁচ দলের ই গ্রুপে ১ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ পয়েন্ট তালিকার তলানিতে।
পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিতে জেমির সঙ্গে দেশি কোচদেরও সমন্বয় ও সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন সুফিল, ‘বিদেশী কোচিং স্টাফদের সাথে দেশীয় কোচেরাও আমাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শক ও প্রদর্শক হিসেবে নিয়োজিত থাকেন। যেমন কায়সার ভাইয়ের কথা যদি বলি, জেমির সকল কৌশল প্রায়াগিক ক্ষেত্রে তার একটি কঠিন ভূমিকা থাকে। সকল খেলোয়াড়দের সাথে তাদের বন্ধুসুলভ আচরণ এবং মাঠের বাইরেও ব্যক্তিগত সকল সমস্যায় তাদের অভিভবকস্বরূপ আমরা পাশে পাই।’