Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নেমে পড়েছেন সাইফউদ্দিন-সাব্বির-মুশফিক, অপেক্ষায় অনেকেই


১১ জুলাই ২০২০ ১৬:৫২

করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রিকেটারদের অনুশীলন ফেরাতে সব ধরনের প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। লাল সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশ মোতাবেক আইসিসি’র গাইডলাইন অনুসরণন করে বেশ কয়েকটি অনুশীলনের মডিউলও তৈরির কাজও ইতোমধ্যেই শেষ করে এনেছে মেডিকেল বিভাগ। এখন শুধু অপেক্ষা করোনা পরিস্থিতির উন্নতি। বিসিবি’র ক্রিকেট পরিবচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খানের দেওয়া তথ্যমতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমে এলেই তারা অনুশীলন ফেরাবেন। ক্রিকেটাররাও তাদের অভিভাবক সংস্থার সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন। তবে কেউ কেউ ইতোমধ্যেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলনে নেমে পড়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে প্রথম নামটি হচ্ছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। রোজার পর থেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজ শহর ফেনী সরকারি কলেজ মাঠে রোজ করে রানিং, বোলিং ও ব্যাটিংয়ে ঘাম ঝরিয়ে যাচ্ছেন। তবে কয়েকদিন হলো আষাঢ়ের খেয়ালি বৃষ্টিতে তা বিঘ্নিত হচ্ছে।

শনিবার (১১ জুলাই) সারাবাংলার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে লাল সবুজের ক্রিকেটের নন্দিত এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার জানালেন,‘ফেনী সরকারি কলেজের মাঠে রোজার পর থেকেই ফিটনেস ও স্কিলের কাজ শুরু করেছি। তবে এখন করতে পারছি না বৃষ্টির কারণে।’

এরপরের নামটি হলো, জাতীয় দলে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টায় থাকা সাব্বির রহমান। বেশ কিছুদিন হলো নিজ শহর রাজশাহীতে অনুশীলন শুরু করেছেন ড্যাশিং এই ব্যাটসম্যান। রাজশাহী সেরিকালচার (রেশম চাষ) মাঠে একা একা করছেন রানিং, ক্লেমনের জিমনেশিয়ামে সারছেন ফিটনেসের কাজ। আর ব্যাটিং অনুশীলন করছেন বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ইনডোরে।

‘যেহেতু করোনা আছে তাই একা একাই রানিং করছি রাজশাহী সেরিকালচারের মাঠে। জিম করছি ক্লেমনে। আর ব্যাটিং করছি রাজশাহী বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে। এর ফলে আমি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছি। ব্যাটিংয়ে ভুলগুলো কোথায় কি আছে সবই জানি। সেগুলো শোধরাতে চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের হয়ে খেলা রাজশাহীর বিভাগের আরেক তুর্কি-তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্কিল ট্রেনিং শুরু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ উদ্ভুত পারিবারিক ঝামেলায় তা পিছিয়ে গেছে। যদিও তিনি বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনতি বিলম্বেই মাঠে নেমে পড়বেন।

‘আমি স্কিল ট্রেনিং শুরু করতে পারিনি। আমার ছোট বোন কিছুটা অসুস্থ ছিল। এই কারণে গত দুই সপ্তাহ ছুটোছুটির মধ্যে ছিলাম। তার আগে ফিটনেস নিয়ে কাজ করছিলাম। ফিটনেসের সরঞ্জাম আমার বাসাতেই আছে। কিন্তু কিছুদিন করা হয়নি। আর ব্যাটিংটাও করা হয়নি। অবশ্য পরিকল্পনা করছি যে শুরু করা যায় কিনা। তাছাড়া এখানে কয়েকদিন যাবৎ বৃষ্টি হচ্ছে। যখন বৃষ্টি থাকবে না তখন ব্যাটিং শুরুর পরিকল্পনা করেছি।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে নিজ শহর ঝিনাইদহতে নিয়মিতই বোলিং অনুশীলন করে যাচ্ছেন লম্বা বিরতির পরে জাতীয় দলে নিয়মিত হয়ে উঠা পেসার আল-আমিন হোসেন। তার ফেইসবুক প্রোফাইলে আপলোড হওয়া সেই ভিডিও হয়ত কারোর চোখই এড়ায়নি।

দেশের আরেক বিভাগীয় শহর সিলেটে বেশ কিছুদিন হলো ফিটনেস ও স্কিল অনুশীলন শুরু করেছেন পেসার খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন। তবে এবাদত হোসেন কেবল ফিটনেস করেই ক্ষান্ত আছেন। স্কিল ট্রেনিংয়ের জন্য বাসার অদূরে সপ্তাহ দুয়েক আগে পিচ তৈরি করলেও টানা বৃষ্টিতে এখনো হাতে বল তুলে নেওয়া হয়নি তার।

তবে ঢাকায় বসবাসকারী ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার আগে আউটডোর স্কিল অনুশীলন শুরু করেছেন মুশফিকুর রহিম। রাজধানীর বেরাইদের ফোর্টিস গ্রুপের মাঠে গত সপ্তাহ থেকেই অনুশীলন শুরু করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। সবমিলিয়ে করেছেন দুইদিন। জানা গেছে তাকে দেখে মোহাম্মদ আশরাফুল এবং তামিম ইকবালসহ জাতীয় দলের আরো দু একজন এই মাঠে স্কিল অনুশীলনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।

এর বাইরে ঢাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আউটডোর অনুশীলনে নামা অপর ক্রিকেটার হচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। রাজধানীর বসিলার বালুতে, বাসার গ্যারেজে চলছে তার নিয়মিত ফিটনেস অনুশীলন। বোলিং ড্রিলটাও গ্যারেজে সারছেন। কিন্তু আউটডোরে পুরোদস্তুর স্কিল ট্রেনিংয়ে (বোলিং) এখনো তাকে দেখা যায়নি। অনতি বিলম্বে সেটাও নিশ্চয়ই শুরু করে দিবেন লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেকেই চমকে দেওয়া এই গতিতারকা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মুশফিকুর রহিম মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সাব্বির রহমান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর