আর্চার বাউন্সার হাঁকাচ্ছেন মাঠের বাইরেও
১২ জুলাই ২০২০ ০০:১৮
জমে উঠেছে সাউদাম্পটন টেস্ট। প্রথম ইনিংসে যাচ্ছে-তা ব্যাটিং করা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে দেড়শ ছাড়িয়েছিল। তবে তারপর অল্প বিরতিতে কয়েকটা উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশদের লাগাম টেনে ধরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিকে, টেস্ট জমলেও জোফরা আর্চারের পারফরম্যান্স সেভাবে জমাতে পারেননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ২২ ওভার বোলিং করে ৬১ রান খরচায় উইকেটশূন্য আর্চার। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের শরীর তাক করে অনবরত বাউন্সার মেরে গেছেন বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া এই পেসার। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। আর্চারের ব্যর্থতাটা অনেকের জন্য সমালোচনার খোড়াক জুগিয়েছে।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটের মালিক স্টুয়ার্ট ব্রডের বদলে সউদাম্পটন টেস্টের একাদশে নেওয়া হয়েছে আর্চারকে। বিষয়টি মানতে পারেননি অনেকেই। সম্প্রতি দুর্দান্ত ফর্মেই ছিলেন ব্রড। গত অ্যাশেজে দারুণ বোলিং করেছেন। অনেকদিন ধরেই জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে দলে ‘অটো চয়েস’ তিনি। দুজন মিলে ১০০০- এর বেশি উইকেটও পেয়েছেন। তার মতো একজন বোলারকে বসিয়ে আর্চারকে সেরা একাদশে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রথম ইনিংসে পুরো ব্যর্থ হলেন আর্চার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনা হচ্ছে।
বাদ পড়া ব্রড কদিন আগে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিছিলেন। ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসার বলেন ছিলেন, ‘আমি হতাশ, রাগান্বিত, বিরক্ত। সিদ্ধান্তটা বুঝতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। গত দু-এক বছরে আমি সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংটাই করেছি। বিশেষ করে অ্যাশেজ এবং এরপর দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে জেতার পর মনে হচ্ছিল, এই জার্সিটা আমার প্রাপ্য।’
ব্রডের মন্তব্যকে সমর্থন দিতে গিয়ে আর্চারকে খোঁচা মেরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার টিনো বেস্ট। ক্যারিবিয়ান পেসার টুইটারে লিখেন, ‘সত্যিই তো, আর্চার কেন ব্রডের আগে দলে জায়গা পাবে? আপনার দলে উড আছে যে কিনা ৯০ মাইলের বেশি গতিতে বল করে। আর ওর (আর্চার) বলের গতি ব্রডের কাছাকাছিই। ব্রডের ক্ষুব্ধ হওয়াতে আমি দোষের কিছু দেখি না। এটা মোটেও ন্যায়সঙ্গত হয়নি।’
এমন খোঁচা সহ্য হয়নি আর্চারের। ব্যাস, মাঠের মতো টুইটারেও বাউন্স হাঁকিয়েছেন ইংল্যন্ডের বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া ক্রিকেটার। বেস্টের টুইটটি রি-টুইট করে আর্চার লিখেছেন, ‘এত জ্ঞান নিয়ে আপনি কোচ হলেন না কেন?
বেস্টও অবশ্য ছেড়ে কথা বলেননি। আর্চারের ফর্ম নিয়েও কথা বলেছেন তিনি, ‘সম্মান দিয়ে কথা বলো, যুবক! সত্যিটা হচ্ছে অ্যাশেজের পর থেকেই তুমি অত জোরে বল করতে পারনি। যাও, ঘুমাতে যাও, বিশ্রাম নাও। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবার তোমাদের পেটাবে। বিদায়, জফরা।’