শেফিল্ডের কাছে হেরে শঙ্কায় চেলসির ইউসিএল স্বপ্ন!

গুনে গুনে চেলসির জালে তিনবার বল পাঠিয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। আর মৌসুমের শেষভাগে এসে শেফিল্ডের কাছে এমন হারে শঙ্কায় পড়েছে চেলসির চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার সম্ভবনায়। ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দলকে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে ইউরোপা লিগে নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে শেফিল্ড।

করোনা পরবর্তী সময়ে ফুটবল মাঠে ফিরলে দুর্দান্ত শুরু করে চেলসি। শেফিল্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই জিতেছিল ব্লুজরা। অন্যদিকে নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচে দুই হার, এক ড্র এবং দুই জয় পেয়েছিল শেফিল্ড ইউনাইটেড। তবে চেলসির বিপক্ষে যেন জ্বলে ওঠে শেফিল্ডের আক্রমণভাগ।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা শেফিল্ড চেলসির জালে প্রথম বল জড়াতে সময় নেয় মাত্র ১৮ মিনিট। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় চেলসির রক্ষণ, আর এই সুযোগে বল পেয়ে যান শেফিল্ডের বালডক, তবে তার নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন কেপা আরিজাবালাগা। কিন্তু বল গিয়ে পড়ে ডেভিড ম্যাকগোল্ডরিকের সামনে। এবার আর সুযোগ হেলায় হারায়নি ডেভিড। দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন।

প্রথমে লিড নিয়েও রক্ষণাত্মক খেলেনি শেফিল্ড, উল্টো আক্রমণের ধার যেন আরও বাড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে চেলসির ডি বক্সে দুর্দান্ত এক ক্রস করেন শেফিল্ডের এন্ডা স্টিভেন্স আর সেখানে বল পেয়ে যান অলিভার ম্যাকবার্নি। প্রথম সুযোগেই চেলসির জালে বল জড়ান ম্যাকবার্নি আর তাতেই ২-০’তে এগিয়ে শেফিল্ড। প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি দু’দলের কেউই।

দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের রক্ষণকে ঠিক রাখেন শেফিল্ডের খেলোয়াড়রা। চেলসিকে একটুও ছাড় দিতে নারাজ। দুর্দান্ত রক্ষণ কৌশলে চেলসিকে তাদের ডি বক্সে সুবিধা করতে দেয়নি শেফিল্ড। অন্যদিকে গোল পরিশোধে মরিয়া চেলসি একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে কিন্তু কোনোভাবেই শেফিল্ডের রক্ষণে চিড় ধরাতে পারেনি। ম্যাচের ৭৬ শতাংশ বল দখলে রেখে আক্রমণের পর আক্রমণ করে যায় পুলিসিচ, টামি আব্রাহাম, উইলিয়ানরা। তবে নিজেদের রক্ষণকে এদিন যেন পাহাড়ের মতো দৃঢ় করে রেখেছিল শেফিল্ড।

দুর্দান্ত আক্রমণ করেও যখন ম্যাচে ফেরার কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে ব্লুজরা, ঠিক তখনই ম্যাচের ৭৭ মিনিটে উল্টো তৃতীয় গোল হজম করে চেলসি। ডেভিড ম্যাকগোল্ডরিকের দ্বিতীয় গোলে ৩-০’তে এগিয়ে যায় শেফিল্ড। ম্যাচের বাকি সময় আক্রমণ করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি চেলসি। আর শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের শিষ্যদের।

এই হারে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গেল চেলসি। কেননা ইপিএলের পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে বসে থাকলেও ব্লুজদের কাঁধে নিঃশ্বাস ফেলছে লেস্টার সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দুই দলের সামনেই সুযোগ থাকবে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচ জিতে চেলসিকে টপকে যাওয়ার। ৩৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে ৩য় স্থানে চেলসি, ৩৪ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে ৪র্থ স্থানে লেস্টার আর ৩৪ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে ৫ম স্থানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

ইপিএল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চেলসি চেলসি বনাম শেফিল্ড ইউনাইটেড ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড