ফিট ও প্রস্তুত টাইগাররা
১২ জুলাই ২০২০ ২১:৩১
মহামারী করোনার করাল থাবায় চার মাস হতে চলল মাঠের ক্রিকেট বন্ধ। ঘরোয়া ক্রিকেট তো নেই-ই। আন্তর্জাতিক সিরিজ, টুর্নামেন্টও একের পর এক স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়েই ক্রিকেটারদের ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে যা তাদের মনের উপর ফেলছে বিরূপ প্রভাব। যদিও তারা ঘরে বসে ফিটনেস এর কাজ করছেন। বিসিবি’র নির্দেশনা মোতাবেক নিয়মিতই ফিটনেস প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
থেমে নেই অভিভাবক সংস্থা বিসিবির সঙ্গে সভাও। মহামারী কালে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচদের নিয়মিত ভার্চুয়াল টেকনিক্যাল সভার আয়োজন করছে বিসিবি পরিচালনা বিভাগ। যেখানে টেস্ট ও সাদা বলের ব্যাটসম্যান এবং পেস বোলাররা হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো এবং অন্যান্য জাতীয় কোচদের সঙ্গে আলাদা আলাদা সেশন করছেন।
রোববার (১২জুলাই) এক সংবাদ এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি।
বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হক ভার্চুয়াল সেশনগুলোকে অংশগ্রহণ মূলক এবং নিজেদের জন্য কার্যকর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা সবাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাঠে ফিরে যেতে চাই। একজন ক্রিকেটারের জন্য অনুশীলন করতে না পারা ও খেলতে না পাড়ার চেয়ে হতাশার আর কিছুই হতে পারে না। সেজন্যই সভাগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা কিনা আমাদের ক্রিকেটের প্রতি ফোকাসড থাকতে সাহায্য করবে।’
‘সিনিয়র, জুনিয়র সকল সদস্যই এ সভায় বেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন এবং সতীর্থ ও কোচদের সঙ্গে তাদের আইডিয়াগুলো শেয়ার করছেন। এখানে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তাছাড়া এখানে আমাদের টেস্ট পারফরম্যান্স ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং আমরা আলোচনা করেছি যে কি করে সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারি। আমি বিশ্বাস করি সকলেরই এখন নিজের জন্য যথেষ্ট সময় আছে। এ সময়ে সবাই সবার খেলা নিয়ে আরও স্বচ্ছ ভাবে ভাবতে পারবে এবং বুঝতে পারবো যে আমাদের কি করা উচিত ও কি করা উচিত নয়।’ যোগ করেন মমিনুল।
তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব মনে করেন, কোচ এবংসিনিয়র প্লেয়ারদের কাছ থেকে শোনা এ আলোচনা তার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এবং ভবিষ্যতে ভালো কিছুর দিক নির্দেশনা দিবে।
‘মুশফিকুর রহিম এর মত অভিজ্ঞ প্লেয়ার ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিয়ে যেসব কথা বলেছেন তা আমাদের ভবিষ্যতের পথ দেখাবে। ম্যাচের ভিডিও বিশ্লেষণগুলো আমাদের সাহায্য করবে।’
করনাকালে ক্রিকেটারদের ফিটনেস এর উপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচক প্যানেল ইতোমধ্যেই ৩৮ জন প্লেয়ার এর একটি পুল তৈরি করেছেন। তাদের জন্য জিমের সরঞ্জামাদি বাড়িতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে টাইগার ক্রিকেট প্রশাসন। এবং ১৯ জন ক্রিকেটার ইতোমধ্যেই এই সুবিধা নিচ্ছেন।