করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বজুড়ে ফুটবল স্থগিত হয়ে যায়, ফ্রান্সও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে ফ্রান্স তাদের লিগ ওয়ান বাতিল করে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই-পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে। তবে এরপর ইউরোপের অন্যান্য দেশ ফুটবল ফেরালে বিপাকে পড়ে পিএসজি, কেননা তাদের সামনে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলা রয়েছে। সবকিছু ভেবে পিএসজি নিজেদের তৈরি করতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছে।
আর নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার ম্যাচে দ্বিতীয় বিভাগের দল লে হারভরেকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে নেইমার-এমবাপে-ইকার্দিরা। এদিকে ফ্রান্সের সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছিল সীমিত আকারে স্টেডিয়ামগুলোতে দর্শকের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এই ম্যাচ দিয়েই তা শুরু হলো। পিএসজির ম্যাচের গ্যালারিতে বেশ কিছু দর্শকদের দেখা মিলেছে।
এদিন জোড়া গোল করেছেন নেইমার, আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি ও স্প্যানিশ উইঙ্গার পাবলো সারাবিয়া। একটি করে গোল আইভোরি কোস্টের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গানা গেয়ে, স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে ও তরুণ আর্নোদ কালিমুয়েন্দোর।
এদিন দর্শকদের উপস্থিতি নিয়ে সরগরম ছিল ফুটবল বিশ্বে। এখনও বিশ্বজুড়ে করোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আর এর মধ্যেই জনসমাগমে অনুমতি দিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। নেইমারদের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় হেভরের মাঠ স্তাদিও ওসিয়েনেতে। এই স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার হলেও মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র পাঁচ হাজার মানুষ। যা আগেই ফ্রান্স সরকার জানিয়ে দিয়েছিল।
ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল লিগগুলোর ভেতর প্রথম দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দিল ফ্রান্স। তবে মাঠে প্রবেশের আগে অবশ্যই দর্শকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রবেশ করতে হয়েছে। দর্শকদের মুখে মাস্ক পরা ছিল বাধ্যতামূলক। এছাড়া দর্শকরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বসেছিলেন। দলের সদস্যদের মধ্যে ‘সামাজিক দূরত্ব’ না থাকলেও দলগুলোর মধ্যে সে দূরত্ব দেখা গেছে। তবে খেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি আর।