বিসিবি’র উদ্যোগে রুমানা’র স্বস্তি
১৪ জুলাই ২০২০ ১৫:১৯
করোনাকালে ক্রিকেট নেই। ক্রিকেট নেই তার মানে তো এই নয়, আর ফিরবে না। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই ক্রিকেট ফেরাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। সেই অবধি ফিটনেস ধরে রাখাই ক্রিকেটারদের প্রথম ও প্রধানতম কাজ হয়ে উঠেছে। এবং তারা তা করছেনও। তবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে দলপতি রুমানা আহমেদের ফিটনেস ধরে রাখার কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। বাসায় জিমের সরঞ্জাম বলতে ছিল কেবল কয়েকটি ভারোত্তোলক (ওয়েইট)। তাও সঠিক ওজনের নয়। যেহেতু তিনি ফিজিওর পরামর্শ মোতাবেক তিনি ১৫-২০ কেজি ওজনের ভারোত্তোলক ব্যবহার করে থাকেন। পক্ষান্তরে তার বাসায় যা ছিল তার এক একটির সর্বোচ্চ ওজন ৫ কেজি। প্রায় চার মাস এভাবেই কষ্ট ক্লেসে নিজেকে ফিট রেখেছেন। কিন্তু সম্প্রতি বিসিবির নেওয়া একটি উদ্যোগ তার সেই কষ্ট দূর করে এনে দিয়েছে স্বস্তি।
করোনাকালের ঘরবন্দি সময়ে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের বিষয়টি সর্বাধীক গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জাতীয় দলের ক্রিকেটার যাদের বাসায় জিমের সরঞ্জামাদি নেই বিনামুল্যে তা তাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে। বিসিবি’র এই সুবিধা পেতে যাচ্ছেন রুমানা আহমেদও। লাল সবুজের প্রমীলা ওয়ানডে দলের এই দলপতি ইতোমধ্যেই ফিজিওকে জানিয়েছেন তার কী কী সরঞ্জমা প্রয়োজন। যেহেতু এই মুহুর্তে তিনি নিজ শহর খুলনায় অবস্থান করছেন তাই খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়মের জিমনেশিয়াম থেকে তার জন্য সরঞ্জামগুলো সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এতে করে তার খেলোয়াড়ী চিক্তে স্বস্তি ফিরেছে। আর যাই হোক এখন আর ফিটনেস নিয়ে ভাবতে হবে না।
জিমের সরঞ্জাম সরাবরাহের পাশাপাশি টাইগার প্রশাসনের আরো একটি পদক্ষেপ রুমানাকে দারুণ স্বস্তি এনে দিয়েছে। সেটা হল ‘কভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ’। মহামারীকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে সবাই যখন চিন্তিত তখন এই অ্যাপ ব্যবহার করে তিনি যেমন স্বাস্থের নিয়মিত আপডেট জানতে পারছেন তেমনি কর্মস্থলকেও জানাতে পারছেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) সারাবাংলাকে কথাগুলো জানালেন রুমানা আহমেদ।
‘একটা বিষয় ভাল লাগছে যে এখন আমরা স্বস্তিতে থাকতে পারছি। আমাদের কিছু হলে বিসিবিকে জানাতে পারছি। ভেবে লাগছে যে আমাদের একটা অভিভাবক আছে। বিসিবি’র আরো একটি উদ্যোগ ভাল লেগেছে যে বিসিবি থেকে আমরা জিমের সরঞ্জাম পাচ্ছি। আমাদের যাদের বাড়িতে সাইকেল নেই, ভারোত্তোলক নেই তাদের জন্য বিসিবি এসব সরঞ্জাম বাড়িতে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’
‘আমি ফিজিওকে জানিয়েছিলাম যে আমার একটি সাইকেল ও ভারোত্তোলক প্রয়োজন। যেহেতু আমার পায়ের সমস্যা আছে সেহেতু ভারোত্তোলক দিয়ে কাজ না করলে সমস্যা হতে পারে। তো তারা জানিয়েছে যে খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে এগুলো আছে। সেখান থেকে দিতে পারবে। এসমস্ত উদ্যোগগুলো আমার খুবই ভাল লেগেছে।’ যোগ করেন রুমানা।