Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পাচ্ছেন রাশফোর্ড


১৫ জুলাই ২০২০ ১৬:০৯

ফুটবল মাঠে প্রতিপক্ষের ঘাম ঝরিয়ে নাস্তনাবুদ করে ছাড়েন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২২ বছর বয়সী তরুণ ইংলিশ তারকা মার্কাস রাশফোর্ড। তবে এবার ফুটবল মাঠের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছেন রাশফোর্ড। আর তারই সম্মাননা হিসেবে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হবে রাশফোর্ডকে। সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবেই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করতে যাচ্ছেন এই ম্যানচেস্টার ইনাইটেডের তারকা। এর আগে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন এবং স্যার ববি চার্লটন সম্মানসূচক এই ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইংলিশ তারকা ফুটবলার মার্কোস রাশফোর্ড। এখন পর্যন্ত দাতব্য কাজে ২০ মিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহ করেছেন রাশফোর্ড। সেদেশের সরকার ১৫ পাউন্ড করে প্রায় ১৩ লাখ শিশুর জন্য দৈনিক খাবারের ভাউচার বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে পরবর্তীতে বৃটেনে করোনা পরিস্থিত কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সে বরাদ্দ বন্ধের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

বিজ্ঞাপন

আর শিশুদের খাবার দেওয়া বন্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন মার্কোস রাশফোর্ড। সে সময় ‘মেক দ্য ইউ টার্ন’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল প্রতিবাদ করে গেছেন, সরব হয়েছেন গণমাধ্যমে। যতদিন একটা শিশু অভুক্ত থাকবে, ততদিন নিজের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার প্রতিবাদের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

আর তার এমন সাহসিক উদ্যোগের কারণেই ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় মার্কাস রাশফোর্ডকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি প্রদান করবে। এই পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় রাশফোর্ড বলেন, ‘যখন দেখি অতীতে অনেক কিংবদন্তিরা এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তখন অনেক গর্ববোধ হয়। আমাদের শিশুদের খাবারের জন্য এই যুদ্ধে আরও অনেক দূর যাওয়ার বাকি। আর এই যুদ্ধের জন্য এই দেশের নিজের শহরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মাননা পাওয়াটা অনেক গর্বের।’

রাশফোর্ডের প্রতিবাদের মুখে গ্রীষ্মের ছুটিতেও শিশুদের জন্য খাবার বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেয় ব্রিটিশ সরকার। আর সেদেশের শিশুদের খাবারের জন্য সরকারের মোট খরচ হবে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড।

সাধারণত ইংল্যান্ডের কর্মজীবী বাবা-মায়েরা নিজের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়েই কাজে যান। আর স্কুলে সন্তানরা অনেকটা সময় ব্যয় করে এবং দুপুরের খাবারটাও প্রদান করত। তবে করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ হওয়ার পর বিপাকে পড়েছিলেন অভিভাবকেরা। দুপুর বেলা এই খাবারের খরচ কোত্থেকে আসবে? তার ওপর অনেকেই হয়ে পড়েছিলেন বেকার।

আর সরকারের সাহায্যের কথা শুনে স্বস্তি ফিরেছিল এইসব অভিভাবকের মনে। তবে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। সামনের গ্রীষ্মের ছুটির সময় এই ভাউচার চালু না রাখার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। যাতে আবারও দিশেহারা হয়ে পড়ে অভিভাবকরা। এরকম হলে প্রায় ২০ লাখ শিশুকে না খেয়ে থাকতে হত। আর করোনার শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো রেড ডেভিল তারকা মার্কোস রাশফোর্ড এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ করেন বরিস জনসনের সরকারের এমন সিদ্ধান্তে।

অবশেষে ব্রিটিশ সরকার প্রতিবাদের মুখে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ অব্যহত রাখে।করোনার সময় এর মধ্যেই নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০ মিলিয়ন পাউন্ড তহবিল সংগ্রহ করেছেন রাশোর্ড। বধির শিশুদের জন্য ইশারার ভাষা শিখেছেন। এবার নিজেকে নিয়ে গেলেন অন্য উচ্চতায়।

ডক্টরেট ডিগ্রি মার্কাস রাশোর্ড ম্যানচেস্টাস বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডিগ্রি