জমে উঠেছে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট
২০ জুলাই ২০২০ ০১:৫৩
ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে আজ চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশন পর্যন্তও মনে হচ্ছিল ড্র’য়েই নিষ্পত্তি হতে যাচ্ছে ম্যাচের ফল। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বল হাতে পেতেই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও ক্রিস ওকস। ২ উইকেটে ২২৭ রানে চা বিরতিতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮৪ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। তারপর দ্রুত লিড বাড়ানোর লক্ষ্যে মিডল অর্ডারের বেন স্টোকস ও জস বাটলার ওপেনার বনে গিয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারলেন না । দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট। কাল শেষ দিনে হয়তো আরও রোমাঞ্চ বাকি!
নিরাপদ লড়াইয়ের জন্য স্কোরবোর্ডে দরকার স্বস্তির পুঁজি, পাশাপাশি প্রতিপক্ষের দশ উইকেট তুলে নিতে পর্যাপ্ত সময়েরও প্রয়োজন। দুই দাবি মেটাতে দ্রুত রান তুলতে সক্ষম দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জস বাটলার ও বেন স্টোকসকে ওপেনিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। রানের খাতা খোলার আগেই কেমার রোচের বলে সরাসরি বোল্ড বাটলার। ১৫ বলে ১১ করে ফিরেছেন জ্যাক ক্রাওলি। চুতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ২১৯ রানে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। ফলে কাল পঞ্চম দিনে নিশ্বন্দেহে আরও খানিকটা ব্যাটিং করতে চাইবেন ইংলিশরা। বাকি সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দশ উইকেট তুলে নিয়ে সিরিজে সমতায় ফেরা কঠিনই হবে ইংলিশদের জন্য।
রোববার ১ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে খেলতে নেমে প্রথম দুটি সেশন দুর্দান্ত খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে বড় অবদান ওপেনার ব্রাথওয়েটের। দিনের শুরুতে নাইটওয়াচম্যান আলগরি জোসেফকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়েন ক্যারিবিয়ান ওপেনার। পরে শেই হোপ ও শামারাহ ব্রুকসের সঙ্গেও পঞ্চাশোর্ধ্ব দুটি জুটি গড়েন ব্রাথওয়েট। বেন স্টোকসের সাদামাটা এক বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হওয়ার আগে ১৬৮ বল খেলে ৭৫ রান করেন তিনি। চারের মার মাত্র ৮টি।
পরে ব্রুকস ও রোস্টন চেজ ধীর গতির দুটি ফিফটি তুলে নিলে দুইশ পেরিয়ে চা বিরতিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ‘তালগোল’ হয়েছে চা বিরতির পরে। ১৮ রানের ব্যবধানে ৪টি উইকেট হারিয়ে ফলোঅন এড়ানোর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগায় সফরকারীরা। রোস্টন চেজের দৃঢতায় শেষ পর্যন্ত ফলোঅন এড়াতে পেরেছেন ক্যারিবিয়ানরা। চেজ ৮৫ বল খেলে ৭টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেছেন। ব্রুকস ১৩৭ বল খেলে ১১ চারে ৬৮ রান করেছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও ক্রিস ওকস।