লাৎজিওর বিপক্ষে জোড়া গোলে সোনার বুটের আরও কাছে রোনালদো
২১ জুলাই ২০২০ ১৩:৩৮
বয়স এখন ৩৫ তারপরেও ইতালিয়ান সিরি আ’তে নিজের নামের নক্ষত্রের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একা কাঁধেই জুভেন্টাসকে ম্যাচের পর ম্যাচ জিতিয়ে চলেছেন রোনালদো। গতরাতে লাৎজিওকে ২-১ গোলে হারিয়ে সিরি আ’র শীর্ষস্থান আরও দৃঢ় করেছে জুভন্টাস। আর এদিন জুভেদের হয়ে দুটি গোলই এসেছে রোনালদোর পা থেকে।
রোনালদোর জোড়া গোলে জুভেদের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন। সিরি আ’র ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম খেলোয়াড় হিসেবে ছুঁয়েছেন ৫০ গোলের রেকর্ড। আর সেই সঙ্গে ফুটবল ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নতুন এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা এবং ইতালিয়ান সিরি আ’তে ৫০ কিংবা তারও অধিক গোলের রেকর্ড ছুঁয়েছেন।
লাৎজিওর বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখা পায়নি দুই দলের কেউই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে অপেক্ষা আর বাড়াননি রোনালদো। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে রোনালদোর নেওয়া শট ডি বক্সের ভেতর হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দেন লাৎজিও ডিফেন্ডার। আর ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাহায্যে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। আর পেনাল্টি স্পট থেকে চলতি মৌসুমে সিরি আ’তে নিজের ২৯তম গোল করেন রোনালদো।
এর ঠিক মিনিট তিনেক পর দিবালার সঙ্গে রোনালদোর জমে ওঠা কেমিস্ট্রির ঝলক। লাৎজিও ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন পাওলো দিবালা। আর নিজের সামনে শট নিয়ে গোল করার সুযোগ থাকলেও জয় নিশ্চিতের জন্য আরও ভালো অবস্থানে থাকা রোনালদোকে বল বাড়িয়ে দেন এই আর্জেন্টাইন। পেনাল্টি স্পটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রোনালদো দিবালার বল পেয়ে জালে পাঠিয়ে দিয়ে ভুল করেননি এক চুলও। তখনই জুভেন্টাস এগিয়ে গেল ২-০’তে। ম্যাচের শেষ দিকে কাইরো ইম্মোবিল একটি গোল করলে কেবল কমে পরাজয়ের ব্যবধান।
জোড়া গোলে ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগের ভেতর রোনালদোর গোল সংখ্যা দাঁড়াল ৩০’এ। তার আগে আছে কেবল বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভান্ডোফস্কি। এই পোলিশ স্ট্রাইকারের গোল সংখ্যা ৩৪। তবে রোনালদোর সামনে লেভান্ডোফস্কিকে স্পর্শ করার বাঁ ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য সামনে রয়েছে আরও চারটি ম্যাচ। রোনালদোর সঙ্গে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে রয়েছেন আরেক সিরি আ’র স্ট্রাইকার কাইরো ইম্মোবিল। তার গোল সংখ্যাও ৩০।
ম্যাচ শেষে রোনালদো নিজেই জানিয়েছেন তার লক্ষ্য ইউরোপিয়ান সেরা পাঁচ লিগের ভেতর সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার। অন্যদিকে এই জয়ে লিগের ৩৪ ম্যাচ শেষে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জুভেন্টাস। তাদের ঠিক পরেই আছে ইন্টার মিলান (৭২ পয়েন্ট), আটালান্টা (৭১ পয়েন্ট) এবং লাৎজিও (৬৯ পয়েন্ট)।