শাস্তি কমল উমর আকমলের
২৯ জুলাই ২০২০ ১৪:৩৩
দুর্নীতির প্রস্তাব গোপন করার দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার উমর আকমলকে। গত ২৭ এপ্রিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞার এক মাসের মাথায় এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তিনি। সেই আপিলের রায় এসেছে বুধবার (২৯ জুলাই)। তিন বছরের শাস্তি কমে দেড় বছরে নেমে এসেছে আকমলের।
অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ফকির মোহাম্মদ খোখার এই রায় প্রদান করেন। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৯ আগস্টের পর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে আকমলের। আর এরপরেই ফিরতে পারবেন সব ধরনের ক্রিকেটে।
পাকিস্তান সুপার লিগ-পিএসএল শুরুর আগে ম্যাচ গড়পেটার প্রস্তাব পেয়েছিলেন এই ক্রিকেটার তবে তা পিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটিকে জানাননি। পিসিবির আনা অভিযোগের বিপক্ষে লড়েননি উমর তাই আনুষ্ঠানিক শুনানির আয়োজন না করেই পিসিবি’র ডিসিপ্লিনারি কমিটি সরাসরি সব ধরনের ক্রিকেটে তার ওপর তিন বছর জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করার দায়ে উমরকে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল পিসিবি। পিএসএলের গত আসর শুরুর আগে এ প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। এরপর এপ্রিলে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় এই ব্যাটসম্যানকে।
গেল ২০ ফেব্রুয়ারি উমর আকমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরই তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সে সময় থেকেই অবশ্য কোনো ধরনের ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নিতে পারেননি তিনি। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হওয়া আকমলের ক্যারিয়ারে আরেকটি বড় ধাক্কা হয়ে এল এই নিষেধাজ্ঞা। এর আগেও বেশ কয়েকবার নিষেধাজ্ঞা-জরিমানার কারণে আলোচনায় এসেছিলেন পাকিস্তানের হয়ে ১৬টি টেস্ট এবং সেই সঙ্গে ১২১টি ওয়ানডে ও ৮৪টি টি-টোয়েন্টি খেলা এই ব্যাটসম্যান।
এর আগে ২০১৮ সালে টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আকমল জানিয়েছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপে ‘ভারতের বিপক্ষের ম্যাচে দু’টি বল ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব’ পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আর সাবেক পাকিস্তানের প্রধান কোচ মিকি আর্থারকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন তিনি। আবার তারও আগে ফিটনেস টেস্ট পাশ করতে না পেরে ট্রেইনারের সঙ্গে অসদাচরণ করেছিলেন তিনি।
আকমলের নিষেধাজ্ঞার খবরের পর বেশ ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা। জনপ্রিয় এই ক্রিকেট বিশ্লেষক এবং ধারাভাষ্যকার টুইটারে নিজের সব ক্ষোভ উৎরে দিয়ে লিখেছিলেন, ‘উমর আকমল অফিসিয়ালি এখন ‘ইডিয়ট’! তাকে ৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুর্দান্ত এক মেধার অপচয়! পাকিস্তানের ফিক্সিংয়ের বিপক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। যারা ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের জেলে দেওয়া উচিৎ। তা নাহলে এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে!’
আকমলের আপিলের ১৫ দিনের মধ্যে পিসিবি’র সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন বিচারক নিয়োগ দিয়েছিল। এই স্বাধীন বিচারক মামলা এবং শাস্তির পরিমাণ পর্যালোচনা করেন। আইসিসি’র অ্যান্টি করাপশন কোডের ২.৪.৪ এবং ২.৪.৫ ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ক্রিকেটার বাজিকরদের কু-প্রস্তাব জানাতে ব্যর্থ হলে পাঁচ বছরের সাজা হতে পারে।
আইসিসি'র দুর্নীতি দমন ইউনিট উমর আকমল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড শাস্তি কমছে