মাঠে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে: নাহিদা
১০ আগস্ট ২০২০ ১৯:১০
করোনাকালে সতীর্থদের মতো ঘরে বসেই কাটছিল বামহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তারের দিন। বিসিবি’র নির্দেশনা মোতাবেক চার দেওয়ালের মধ্যে চলছিল তার ফিটনেস অনুশীলন। এভাবে প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে বিসিবি’র ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন মাঠের অনুশীলনে। এতে করে সতেজতা ফিরেছে তার খেলোয়াড়ি চিত্তে। লম্বা বিরতিতে মাঠে ফিরতে পেরে খুবই ভাল লাগছে বলে জানালেন এই টাইগ্রেস সদস্য।
নাহিদা আক্তার বিসিবি’র অনুশীলনের সূচিভুক্ত হয়েছেন ছেলেদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের দ্বিতীয় ধাপে এসে। সোমবার (১০ আগস্ট) ছিল তার প্রথম দিনের অনুশীলন। অনুশীলনে এসে প্রিয় ভেন্যু মিরপুর শের ই বাংলায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন জিম ও বোলিংয়ে। আধা ঘণ্টা করে মোট এক ঘণ্টা ব্যক্তিগত অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন। প্রথম দিনের আউটডোর অনুশীলন শেষে জানালেন, খুবই ভাল লাগছে। শুরুটা কঠিন মনে হলেও শেষটা স্বাচ্ছন্দ্যেই করেছেন। মহামারিকালে এমন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানালেন অভিভাবক সংস্থা বিসিবি’কে।
সোমবার (১০ আগস্ট) হোয়াটসঅ্যাপে বিসিবি’র পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি একথা জানান।
নাহিদা বলেন, ‘অনেকদিন পর মাঠে আসতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর আমরা মাঠে আসলাম। জিম করেছি, বোলিং করেছি। যদিও একটু কষ্ট হয়েছে, তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো হয়েছে। আর বিসিবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদেরকে এমন একটা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। করোনা পরিস্থিতিতে বিসিবি আমাদের যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, সেগুলো আমরা বাড়িতে টুকটাক কাজ করেছি। এখন মাঠে যে করতে পেরেছি এটাই আলহামদুলিল্লাহ।’
‘বাসায় আমরা কিছু ফ্রি হ্যান্ডের কাজ করেছি। বিসিবি থেকে ফিজিও, ট্রেইনার যেগুলো দিয়েছে সেগুলো করেছি। এখন অনেকদিন পর, প্রায় পাঁচ মাস পর আমি বল করতে পেরেছি। একটু কষ্ট হয়েছে, তবে আস্তে আস্তে এটা ঠিক হয়ে যাবে যদি আমরা ধারাবাহিক ভাবে করতে পারি।’ যোগ করেন নাহিদা।
করোনাকালে ক্রিকেটারদের মানসিক খারাপ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে, গেল মাসে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ও বিশ্বজয়ী যুবাদের জন্য মনোবিদ নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। কানাডা প্রবাসী মনোবিদ আলী খান তাদের সঙ্গে তিনটি করে সেশন নিয়েছেন। আশার কথা হল, এই তিন সেশনেই হারানো মনোবল কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছেন বলে জানালেন এই প্রমীলা বামহাতি স্পিনার।
‘আমরা মানসিকভাবে কিছুটা শক্ত হয়েছি কারণ কিছুদিন আগে দুই তিনটা সেশন হয়েছিল। তো ওখান থেকে আমরা নিজেকে প্রস্তুত করতে পারছি যে আমরা আস্তে আস্তে মাঠে ব্যাক করতে পারবো। আপনারা জানেন কিছুদিন আগে আমরা স্পোর্টস সাইকোলজিক্যাল কিছু সেশন করেছি। ওখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি যে কীভাবে আমরা মানসিকভাবে শক্ত হব বা নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত রাখবো। আমরাতো জানিনা পরিস্থিতি কী হবে ও কখন ঠিক হবে। তো কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখা যায় ওই সেশনে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।’ বলেন নাহিদা।