কঠিন বাস্তবতাটা বোঝেন অ্যান্ডারসনও…
১১ আগস্ট ২০২০ ১৩:২৬
টেস্ট ও ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা বোলার তিনি। শুধু ইংল্যান্ডের নয়, পরিসংখ্যান বলছে জেমস অ্যান্ডারসন ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা পেসার। সব দেশ মিলিয়ে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট তার। টেস্ট উইকেটের ছয়শ পূর্ণ হতে আর মাত্র দশ উইকেট দূরে ইংলিশ কিংবদন্তি। এই অ্যান্ডারসনকেই দল থেকে বাদ পড়ার চিন্তা করতে হচ্ছে!
বয়সটাই কাল হয়েছে। গত মাসে ৩৮তম জন্মদিনের কেক কেটেছেন। একজন পেসারের জন্য এই বয়সে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলা বড্ড কঠিনই। ইংলিশ ক্রিকেটে কান পাতলেই শোনা যায়, নতুনদের সুযোগ করে দিতে অ্যান্ডারসনের উচিত অবসর নিয়ে নেওয়া। এর মধ্যেই গত তিনটা টেস্ট খেললেন একেবারেই বাজে।
গত তিন টেস্টে ইংলিশ পেসার উইকেট পেয়েছেন মাত্র ৬টি, গড় ৪১.১৬। পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যানচেস্টার টেস্টে ৯৭ রান খরচায় মাত্র এক উইকেট পেয়েছেন। এতো বয়সে পারফর্ম করতে না পারলে যা হওয়ার কথা তাই হচ্ছে, সমালোচকরা ছেঁকে ধরেছেন। অ্যান্ডারসনও কঠিন বাস্তবতাটা বুঝছেন। ইংলিশ কিংবদন্তি অকপটেই স্বীকার করলেন, এভাবে খেলতে থাকলে বাদ পড়তেই হবে, অবসর নেওয়া সিদ্ধান্তটা আর নিজের হাতে থাকবে না।
অ্যান্ডারসন বলেন, ‘অবশ্যই আমি আগামী অ্যাশেজে খেলতে চাই। যতদিন সম্ভব আমি খেলে যেতে চাই। কিন্তু গত ম্যাচে যেভাবে বোলিং করেছি, তা যদি অব্যাহত রাখি, তাহলে অবসর নেওয়ার সুযোগটি হয়তো আমার হাতে থাকবে না। এটি হয়ে যাবে নির্বাচকদের বিষয়। তবে এখনও আমি খেলার জন্য ক্ষুধার্ত।’
সম্প্রতি সময়ের বাজে পারফর্মের কারণে ইংলিশ ক্রিকেটের আকাশে অ্যান্ডারসনের অবসরের কথাও উড়তে শুরু করেছে। কথাগুলে গুঞ্জন বলেই উড়িয়ে দিলেন তিনি, ‘না, মোটেই নয়। আমি এখনও খেলার জন্য ক্ষুধার্ত। একটি বাজে ম্যাচের পর চারদিকে যেসব কথাবার্তা চলছে, তা আমার জন্য হতাশার। আমি মনে করি না এসব ঠিক।’
অ্যান্ডারসন জানালেন, গত কয়েকটা দিন কিছুটা আবেগপ্রবণ ছিলেন তিনি। সেটাই সম্ভবত মাঠের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করেছে, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য হতাশার একটি সপ্তাহ এটি। কারণ, মনে হয়েছে আমি খুব একটা ভালো বোলিং করিনি, ছন্দ হারিয়েছি। সম্ভবত গত ১০ বছরে এই প্রথম আমি মাঠে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়েছি, হতাশ হতে শুরু করেছি। কেউ হতাশ ও কিছুটা ক্ষুব্ধ হলে দ্রুত এবং আরও দ্রুত বল করার চেষ্টা করে, যা মাঠে কাজে আসে না।’
কীভাবে ঘুরে আসতে হবে সেটা জানেন ইংলিশ কিংবদন্তি। বললেন, ‘আগামী কয়েক দিন আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা থাকলে তা খুঁজে বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। আশা করি, পরের টেস্টে আমি সুযোগ পাব এবং লোকজনকে দেখাতে পারব টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য যা দরকার, তা এখনও আমার মধ্যে আছে।’