সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। কোয়ারেন্টাইন, প্রস্তুতি শেষে সিরিজ শুরু হওয়ার কথা অক্টোবরের শেষভাগে। এদিকে, সাকিব আল হাসানের আইসিসি কর্তৃক এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে সেই মাসেই। ফিসফাস চলছে, শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটছে সাকিবের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশনস কমিটি ও হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের বৈঠকে অবশ্য তেমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
বুধবার (১২ আগস্ট) বৈঠক করেছে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটি ও হাই পারফরম্যান্স ইউনিট। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের খুঁটিনাটি আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। সাকিবের আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গও ছিল আলোচনায়। তবে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সাকিবের ফেরা প্রসঙ্গে আইসিসির গাইডলাইনের অপেক্ষা করবে বিসিবি। আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী এগুতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
বৈঠক শেষে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারটা আলোচনা করেছি আমরা। আরও আলোচনার বিষয় আছে। কী কী নিয়ম আছে, আইসিসি থেকে সেটা আমরা জেনে তারপরেই এগোবো। এখনও কিন্তু ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ আলোচনা বাকি আছে। সে ফ্রি হবে (নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি) ২৯ অক্টোবর। আমরা যতটুকু জানি সে টিমের সাথে অনুশীলন করতে পারবে না। সুতরাং এটা আমাদের আলোচনা করতে হবে কোচের সাথে, সাকিবের সাথে। বোর্ড সভাপতির সাথেও আলাপ করতে হবে। এজেন্ডায় ছিল, আলাপ হয়েছে, তবে আজ কিন্তু চূড়ান্ত কোন জায়গায় পৌছাইনি।’
তিনি বলেন, ‘অনেক চিন্তার বিষয় আছে। প্র্যাকটিস, ফিটনেসের বায়পারগুলো মিলিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে। অবশ্যই সে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। সে দলে থাকলে বাংলাদেশের শক্তি অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং এটাতো আমাদের মাথায় আছে।’
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও কর্তৃপক্ষকে না জানানোর কারণে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে অক্টোবরের ২৯ তারিখে।