Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এটা লজ্জার, অপমানের, হতাশার’


১৫ আগস্ট ২০২০ ০৩:৫৬

এমন লজ্জা আর অপমানে বার্সেলোনা ঠিক কবে ডুবেছিল তা জানতে ইতিহাসের পাতা খুলে বসতে হবে। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নকআউট পর্বে এটিই কোনো দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বার্সেলোনার ইতিহাসের কলঙ্ক লেপনের রাত। এদিনই যেন বায়ার্ন মিউনিখ ২০১৯/২০২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সা জালে গুনে গুনে আটবার বল জড়িয়েছে। আর তাই তো ম্যাচ শেষে জেরার্ড পিকে জানান দিলেন, এটি লজ্জার, হতাশার আর অপমানের। আর তাই তো নতুনদের জায়গা করে দিতে তিনি ক্লাব ছাড়ার তালিকায় সবার আগেই হাঁটবেন।

বিজ্ঞাপন

দুঃস্বপ্নও যেন এমন ভয়ংকর হয় না যেমনটা ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে প্রথম অর্ধেই দেখল। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের লিসবনে মুখোমুখি বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখ। যেখানে ম্যাচের প্রথমার্ধেই লিওনেল মেসিদের জালে গোলের হালি উৎসব পূর্ণ করেন থমাস মুলার-রবার্ট লেভান্ডোফস্কিরা। আর দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ধারা অব্যাহত রেখে কাতালানদের ওপর চলে বাভারিয়ানদের টর্নেডো। শেষ বাঁশি বাজলেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে মেসিরা কেননা ম্যাচের সমাপ্তি যে হলো বায়ার্নের ৮-২ গোলের জয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নকআউট পর্বে এটিই আট গোলের প্রথম ইতিহাস।

বিজ্ঞাপন

এমন লজ্জার হারের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেননি দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে তার পরিবর্তে এদিন সংবাদ সম্মেলনে আসেন জেরার্ড পিকে। আর তিনিই বলেন নতুনদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে প্রয়োজনে তিনি সবার আগে ক্লাব ছাড়বেন।

সংবাদসম্মেলনে পিকে বলেন, ‘এটা লজ্জার, অপমানের আর হতাশার একটি ম্যাচ। এটা আমাদের জঘন্যতম ম্যাচ। এটা প্রথমবার বা দ্বিতীয়বার আমাদের সঙ্গে হয়নি, এটা তৃতীয়বার আমাদের সঙ্গে হয়েছে। এটা খুব খুব কঠিন সময়। ক্লাবের এখন পরিবর্তন প্রয়োজন। আমি কোচ বা কোনো খেলোয়াড়ের কথা বলছি না। আমি কারো দিকে আঙুল তুলতে চাই না। ক্লাবের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।’

পিকে আরও বলেন, ‘এখানে কেউই অপরিহার্য নয়। আমি প্রথম যে নতুনদের জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। নতুন কেউ যে ক্লাবের জন্য লড়বে, নতুনত্ব আনবে তাদের জন্য আমি ক্লাব ছাড়তে প্রস্তুত আছি। আমার মনে হয় আমরা সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌছে গেছি। ক্লাবের জন্য কি সঠিক হবে তা আমাদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

২০১৫ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর থেকে আর একবারও ফাইনাইলে উঠতে পারেনি বার্সা। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ের পরেও অ্যানফিল্ডে ৪-০ গোলে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল কাতালানদের।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০১৯-২০২০ জেরার্ড পিকে বায়ার্ন মিউনিখ বনাম বার্সেলনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর