বার্সার হারে খুশি কুতিনহো
১৫ আগস্ট ২০২০ ০৫:০০
এক দুর্বিষহ রাত অতিক্রম করল বার্সেলোনা। ইতিহাসের পাতা থেকে নিশ্চয়ই এই রেকর্ড মুছে দিয়ে চাইবে বার্সা। তবে তা কি আর হয়? বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮-২ গোলের হারের ক্ষত রয়ে যাবে বার্সার ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় হয়ে। এদিকে কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিচ্ছেন বার্সেলোনারই খেলোয়াড় ফিলিপ কুতিনহো। এই ম্যাচে বার্সার হারে তিনি খুশি কেননা বার্সা থেকে ধারে বায়ার্ন মিউনিখেই যে তিনি খেলছেন।
২০১৮ সালে লিভারপুল থেকে বার্সেলোনার ক্লাব রেকর্ড পরিমাণ অর্থ দিয়ে দলে ভেড়ায় ফিলিপ কুতিনহোকে। আর সেই কুতিনহোকেই এক মৌসুম পরে বায়ার্ন মিউনিখে ধারে খেলতে পাঠায় কাতালান ক্লাবটি। এবার বাভারিয়ানদের কাছে লজ্জার এই হারে বেশ বড়সড় অবদানই রেখেছেন তিনি। ম্যাচের শেষ দিকে নামলেও দুই গোল আর এক অ্যাসিস্ট করে নিশ্চিত করেন ৮-২ ব্যবধানের জয়।
আর ম্যাচ শেষে জানান বর্তমান ক্লাবের হয়ে এমন ম্যাচ জিততে পেরে বেজায় খুশি তিনি। কুতিনহো বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ ছিল। আর এই ম্যাচ জিততে পেরে আমি খুবই খুশি।’
তবে বার্সেলোনার সঙ্গে এখনও চুক্তিবদ্ধ কুতিনহো আর তাই তো নিজের ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করে উদযাপন করেননি এই ব্রাজিলিয়ান। বায়ার্নের করা ৮ গোলের ভেতরে শেষ দুটি গোল করেন তিনি আর সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন আরও একটি গোল।
এমন লজ্জা আর অপমানে বার্সেলোনা ঠিক কবে ডুবেছিল তা জানতে ইতিহাসের পাতা খুলে বসতে হবে। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নকআউট পর্বে এটিই কোনো দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বার্সেলোনার ইতিহাসের কলঙ্ক লেপনের রাত। এদিনই যেন বায়ার্ন মিউনিখ ২০১৯/২০২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সা জালে গুনে গুনে আটবার বল জড়িয়েছে। আর তাই তো ম্যাচ শেষে জেরার্ড পিকে জানান দিলেন, এটি লজ্জার, হতাশার আর অপমানের। আর তাই তো নতুনদের জায়গা করে দিতে তিনি ক্লাব ছাড়ার তালিকায় সবার আগেই হাঁটবেন।
দুঃস্বপ্নও যেন এমন ভয়ংকর হয় না যেমনটা ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে প্রথম অর্ধেই দেখল। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের লিসবনে মুখোমুখি বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখ। যেখানে ম্যাচের প্রথমার্ধেই লিওনেল মেসিদের জালে গোলের হালি উৎসব পূর্ণ করেন থমাস মুলার-রবার্ট লেভান্ডোফস্কিরা। আর দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ধারা অব্যাহত রেখে কাতালানদের ওপর চলে বাভারিয়ানদের টর্নেডো। শেষ বাঁশি বাজলেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে মেসিরা কেননা ম্যাচের সমাপ্তি যে হলো বায়ার্নের ৮-২ গোলের জয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নকআউট পর্বে এটিই আট গোলের প্রথম ইতিহাস।
এদিকে নিজের জার্মান জাতীয় দলের সতীর্থ মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগানের জন্য মন কাঁদছে বায়ার্ন অধিনায়ক এবং জার্মান জাতীয় দলের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের। তিনি বলেন, ‘আমার আসলে স্টেগানের জন্য খারাপ লাগছিল। কিন্তু জাতীয় দলের সঙ্গে এটার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি জানি এমন একটি ঘটনা কোনো গোলরক্ষকের জন্যই সহজ নয়। আমরা এখন চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলছি আর এটার সঙ্গে জাতীয় দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০১৯-২০২০ ফিলিপ কোতিনহো বায়ার্ন মিউনিখ বনাম বার্সেলনা