Wednesday 15 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উদীয়মান খেলোয়াড় ‘সংকটমুক্তির’ যুব গেমস


৯ মার্চ ২০১৮ ১৬:২৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০ কোটি টাকার মেগা বাজেট। প্রথমবারের মতো দেশের ইতিহাসে যুব গেমস। সারাদেশ থেকে প্রায় ২৮ হাজার খেলোয়াড়ের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে খেলবে দুই হাজারের অধিক খেলোয়াড়। প্রতিভাবানদের বের করার জন্য এই ‘খেলাযজ্ঞ’। ফুটবল-হকিসহ ২১ টি ডিসিপ্লিনে শনিবার থেকে চূড়ান্ত পর্ব শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।

গত বছর ১৮ ডিসেম্বর জেলাপর্যায় থেকে শুরু হওয়া এই গেমসের সমাপ্তি ১৬ মার্চ। গেমসের চূড়ান্ত পর্ব আনুষ্ঠানিক শুরু হয়ে গেছে ৭ মার্চ ফুটবল দিয়ে। আগামীকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এই গেমসের চূড়ান্ত পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্ণাঢ্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। এতে থাকছে লেজার শো, আতশবাজি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলন করবেন কমনওয়েলথ গেমস ও সাফ গেমসের স্বর্ণ জয়ী শ্যুটার আসিফ হোসেন খান। দেশের ৪৬০টি উপজেলার ২৭ হাজার ১৯৬ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছিল প্রাথমিক পর্বে। ৮-১৩ জানুয়ারি বিভাগীয় পর্যায়ের খেলায় প্রতিনিধিত্ব ছিল ৬৭০৮ জন ক্রীড়াবিদের।

তবে ফাইনাল রাউন্ডে লড়বেন ২৬৬০ জন। তাদের লড়াই হবে ১ হাজার ১১৪টি পদকের জন্য। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। এর মধ্যে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক ৩৪০টি করে। ব্রোঞ্জপদক ৪৩০টি।

২১ ডিসিপ্লিন নিয়ে এই যুব বাংলাদেশ গেমস। এগুলো হলো ফুটবল, হকি, কাবাডি, বাস্কেটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল, সাঁতার, অ্যাথলেটিকস, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন, রেসলিং, উশু, শ্যুটিং, আরচারি, ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, দাবা, জুডো, কারাতে, তায়কোয়ানডো ও স্কোয়াশ। এর মধ্যে শ্যুটিং ও স্কোয়াশে হচ্ছে সরাসরি চূড়ান্ত পর্ব। জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে এগুলোর অবকাঠামো নেই। তাই রাজধানীতেই এই দুই ডিসিপ্লিনের সব খেলা।

বিজ্ঞাপন

তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করার জন্যই এই গেমসের আয়োজন। গেমস শেষে বাছাইকৃত ক্রীড়াবিদদের কিভাবে দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণ দেয়া যায় এ নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত। জানান বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তার দেয়া তথ্য, বৃহৎ এই আসরের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠকও খুঁজে পাওয়া গেছে। কোনো কোনো জায়গায় সাংগঠনিক দুর্বলতাও ধরা পড়েছে। বিশাল বাজেটের এই গেমস থেকে সফল ক্রীড়াবিদেরা শুধু পদকই পাবেন। বিজয়ী দল পাবে ট্রফি।

পরে দুই বছর অন্তর অন্তর বাংলাদেশ গেমস এবং যুব গেমস হবে। জানান বিওএ মহাসচিব শাহেদ রেজা। ২০১৯ বা ২০২০ সালে বাংলাদেশ গেমস হবে এমন ইঙ্গিত দিলেন তিনি। এবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গ্যালারি থেকে নেমেই মার্চপাস্টে অংশ নেবেন খেলোয়াড়রা। এরপর ফের ফিরে যাবেন গ্যালারিতে। এটাকে নতুনত্ব বললেন বিওএ’র সহসভাপতি ও গেমসের মিডিয়া এবং পাবলিসিটি কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ। দলগুলো ৮ বিভাগের ব্যানারে মার্চপাস্টে অংশ নেবে। আগে তো দলগুলো থাকত স্টেডিয়ামের বাইরে। এরপর মার্চপাস্টের সময় মাঠে ঢুকত।

বিওএ মহাসচিবের আশাবাদ এভাবে নিয়মিত যুব গেমস করলে পাইপলাইনে কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্কট হবে না। বিওএ’র উপমহাসচিব আশিকুর রহমান মিকুর মতে, আরেকটু সময় পেলে আরো ভালোভাবে এর আয়োজন সম্ভব হতো।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর