Wednesday 20 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাইনালের লড়াইটা দুই জার্মান কোচেরও!


২৩ আগস্ট ২০২০ ১৪:০৬

অপেক্ষা আর মাত্র ঘণ্টা কয়েকের! এরপরেই ২০১৯/২০ মৌসুমের ইউরোপের শ্রেষ্ঠ ক্লাবের পরিচয় মিলবে। পর্তুগালের লিসবনে রোববার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত একটায় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মাঠে নামবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই এবং বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান ঘরোয়া ডাবল জয়ী বায়ার্ন মিউনিখ আর ফ্রেঞ্চ ঘরোয়ার ডাবল জয়ী পিএসজি। ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের লড়াইয়ে আছেন দুই জার্মানও কোচও। দুই ক্লাবের দুই কোচের জন্মস্থান জার্মানীতে। পিএসজি কোচ থমাস টুখেল এবং বায়ার্নের কোচ হানসিক ফ্লিক।

বিজ্ঞাপন

অবশ্য এবারেই প্রথম দুই জার্মান কোচ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছেন না। এর আগেও একবার দুই জার্মান কোচ ফাইনালে লড়েছিলেন একে অপরের বিপক্ষে। সেবারও ফাইনালে ছিল বায়ার্ন। অবশ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে সেবার ছিল বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। আর এবারে আছে পিএসজি। সেবার শিরোপা জিতেছিল বায়ার্ন। তবে এবার? এবারের ফলাফল জানতে হলে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে দুই জার্মান কোচের মুখোমুখি লড়াই ছাড়াও দেখা গেছে একই দেশের দুই কোচের আরও দুইবার লড়াই। ১৯৭৯ সালের উয়েফা ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে (সে সময় চ্যাম্পিয়নস লিগের নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ) খেলেছিল ইংলিশ ক্লাব নটিংহ্যাম ফরেস্ট এবং সুইডিশ ক্লাব মালমো। সেবার নটিংহ্যামের কোচ ছিলেন ব্র্যায়ান ক্লহ আর মালমোর কোচ ছিলেন বব হিউটন।

পড়ুন: ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে পিএসজি-বায়ার্ন!

এরপর দ্বিতীয়বার একই দেশের দুই কোচ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ২০০৩ সাল চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে। সেবার ফাইনাল খেলে ইতালির দুই জায়ান্ট এসি মিলান এবং জুভেন্টাস। আর দুই দলের কোচ ছিলেন যথাক্রমে কার্লো আনচেলোত্তি এবং মার্সেলো লিপ্পি। সেবার জয়টা হয়েছিল আনচেলোত্তির।

আর ২০১৩ সালে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে একই দেশের দুই কোচ মুখোমুখি হয়ে। সেবার বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। সে সময় ডর্টমুন্ডের দায়িত্বে ছিলেন ইয়্যুর্গেন ক্লপ আর বায়ার্নের কোচ ছিলেন ইয়াপ হেইঙ্কস।

সাত বছর পর আবারও একই দেশের দুই কোচ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। এবারও দুই জার্মানের লড়াই। এবার পর্তুগালের লিসবনে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি পিএসজি আর বায়ার্ন।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালে উনাই এমরেকে সরিয়ে তার জায়গায় পিএসজির কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন থমাস টুখেল। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে কোচিং ক্যারিয়ারটা বেশ ভালোই কাটছিল তার। এরপর সুযোগ আসল ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নদের ডাগ আউটের দায়িত্ব নেওয়ার। আর সেই সুযোগ লুফে নেওয়ার দুই বছরের মাথায় দলকে নিয়ে গেলেন নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ইউসিএল ফাইনালে।

অন্যদিকে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে নিকো কোভাচের সহকারি কোচ হিসেবে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন হানসি ফ্লিক। এর আগে ২০১৪ সালে জোয়াকিম লোর জার্মান টিমেও সহকারি কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফ্লিক। তবে নিকো কোভাচের বায়ার্ন মিউনিখের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে মৌসুমের মাঝপথেই বরখাস্ত হন কোভাচ আর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সহকারি ফ্লিকের হাতে। আর সেখান থেকেই যেন বদলে যায় বায়ার্ন। ২০১৯ এর ডিসেম্বরে দায়িত্ব নিয়ে মাত্র ৯ মাসেই দলকে নিয়ে যান ফাইনালে। আর অপেক্ষা সে ফাইনাল জয়েরও।

শেষ পর্যন্ত কোন জার্মানের জয় হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা। চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা উঠবে কার হাতে পিএসজি নাকি বায়ার্ন? ফ্লিক নাকি টুখেলের উত্তর অপেক্ষা করছে রোববার রাতের ম্যাচেই।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০১৯-২০২০ থমাস টুখেল পিএসজি বনাম বায়ার্ন ফাইনাল হানসি ফ্লিক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর