‘ঘরের ছেলে’ই কাঁদাল পিএসজিকে
২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:১০
আগামী এক বছরের জন্য ইউরোপের সেরা ক্লাবের স্বীকৃতি বায়ার্ন মিউনিখের। রোববার (২৩ আগস্ট) রাতে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে জার্মানির ক্লাবটি। নিশ্চয় হতাশ পিএসজি সমর্থকরা। কিংসলে কোমানকে নিয়ে আক্ষেপটা হয়তো খুব করেই পোড়াচ্ছে কাউকে কাউকে!
কাল ফাইনালের বেশিরভাগ সময়েই মনে হচ্ছিল ‘শিরোপা জিততে পারে যে কোন দল’। বিশেষ করে প্রধমার্ধে। ৫৯ মিনিটে হেডে গোল করে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচটার ভাগ্য নির্ধারন করে দিয়েছেন কোমান। অথচ কাল পিএসজির হয়েও মাঠে নামতে পারতেন ফরাসি তরুণ!
মাত্র দশ বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন পিএসজির একাডেমিতে। প্রতিভা যে ছিল সেটা মাত্র ১৬ বছর বয়সে সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলে বুঝিয়েছিলেন। পিএসজির সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিষেক হয় তার। কিন্তু তারপর পর্যাপ্ত সুযোগ মিলছিল না একাদশে।
পেট্রো ডলারের ঝনকানি দেখিয়ে দলে একের পর এক তারকা ভিড়িয়ে কোমানকে আর জায়গা দিতে পারছিল না পিএসজি। ২০১৪ সালের দিকে এসে বুঝি অতিষ্ঠই হয়ে পড়লেন ফরাসি তরুণ। জ্লাতান ইবাহিমোভিচ, মার্কিনহোস, লুকাস মাউরা, লাভেজ্জি, মার্কো ভেরাত্তি, এডিনসন কাভানি, মাতুইদিদের ভিড়ে একের পর এক ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকতে থাকতেই ভাবলেন, ‘অনেক হয়েছে, আর নয়’।
পিএসজি ছেড়ে জুভেন্টাসে পাড়ি দিয়েছিলেন সেবছর। সেখানে এক বছর থেকে গেছেন বায়ার্ন মিউনিখে। ২৪ বছর বয়সী সেই ছেলেটিই কাল প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিততে দিলেন না পিএসজিকে।
শুধু জয়সূচক গোলটা করেছেন বলেই নয়, যতোক্ষণ মাঠে ছিলেন উইংয়ে খেলেছেন দুর্দান্ত। তার পা থেকে বারবারই বায়ার্নের আক্রমণ গতি পাচ্ছিল। পিএসজিকে দেখিয়ে দেওয়ার একটা ইচ্ছা নিয়েই হয়তো ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন কোমান!