৩০-৪০ শতাংশ বেতন ছাড় দিতে রাজি ফুটবলাররা
২৫ আগস্ট ২০২০ ২৩:০৭
ঢাকা: দেশের ফুটবলে করোনা যেন এক অভিশাপ হিসেবেই আবির্ভাব হয়েছে। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগটাই বাতিল হয়ে গেল। সব স্তরের ফুটবল টুর্নামেন্টই স্থগিত হয়ে গেছে। পরের বিপিএল কবে হবে তাও এখনও চূড়ান্ত নয়। এর মধ্যে অনেক ফুটবলারের বেতন না পাওয়ার বিভিন্ন অভিযোগ তো আছেই। তবে, করোনা পরিস্থিতিকে বিবেচনায় এনে ফুটবলাররা পরের মৌসুমে নিজেদের পারিশ্রমিকের প্রায় অর্ধেকই ছাড়তে দিতে ইচ্ছুক।
তারপরেও অন্তত ফুটবল মাঠে ফিরুক এমন ইচ্ছা দেশের বিভিন্ন ক্লাবের ফুটবলারদের।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভবনে প্রিমিয়ার লিগের ১৩ ক্লাবের ২৫ ফুটবলারের সঙ্গে বৈঠক করেছে পেশাদার লিগ কমিটি। সেখানে ক্লাবে চুক্তিসহ বেতন নিয়ে আলোচনা করেছেন ফুটবলাররা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ফুটবলাররা যা জানান তার সারমর্ম এমন, ২০১৯-২০ মৌসুমের যে লিগটা বাতিল হলো সেই লিগে ক্লাবের হয়ে পুরো অর্থই অনেকে পাননি। পরের মৌসুমে উইন্ডো বা লিগ শুরু আগে যাতে পুরো অর্থই পরিশোধ করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেটা হলে পরের ২০২০-২১ মৌসুমে চুক্তির ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পারিশ্রমিক ছাড় দিতে রাজি আছেন তারা।
এ বিষয়ে ঢাকা আবাহনীর মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘আমরা চাই মাঠে খেলা ফিরুক। আমরা দেশের ৪ থেকে ৫ হাজার ফুটবলারদের প্রতিনিধি হয়ে এখানে এসেছি বৈঠকে। করোনার কারণে ক্লাব ও ফুটবলার দুই দিকেই ক্ষতি হয়েছে। তাই পরের মৌসুমে আমরা ফুটবলারা ৩০-৪০ শতাংশ পারিশ্রমিক ছাড় দিতে রাজি আছি। সেজন্য গেল মৌসুমের পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে হবে ক্লাবকে। এই কথাই আজ পেশাদার লিগ কমিটিকে জানিয়েছি। আশা করছি বিষয়টি আমলে নিবে ক্লাবরা।’
তবে যাদের চুক্তি ১০ লাখের নিচে তাদের বেলায় এ ছাড় প্রযোজ্য নয় বলে জানান শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের অধিনায়ক ও গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার, ‘যাদের চুক্তি ১০ লাখের নিচে তাদের পরের মৌসুমে বেতনে ছাড় দেয়ার প্রয়োজন নেই। তারা এমনিতেই কম পান। আর যারা ইমার্জিং ফুটবলার। ভাল করছে লিগে বা ফেডারেশন লিগে। পারফরম্যান্স বিবেচনায় এনে তাদের যাতে বেতন বাড়ানো হয় সেই বিষয়েও অনুরোধ করছি।’
এই বিষয়গুলো আগামী সপ্তাহে পেশাদার লিগ কমিটির বৈঠকে ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসবে কমিটির কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।