ঘোলা জলে রাঘব বোয়াল ঘুরছে, শিকার করার লোভ কী আর সামলানো যায়! লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তাকে দলে ভেড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো। গণমাধ্যমে খবর, এই দৌড়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ডের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। পেট্রো ডলারের ঝনকানিতে চাকচিক্যে ভরা পিএসজিও কিন্তু বসে নেই। শোনা যাচ্ছে, মেসিকে পিএসজিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন ক্লাবটির সেরা তারকা নেইমার।
গত কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছিল, বার্সেলোনায় আবারও নেইমারকে পাশে চান মেসি। দল শক্তিশালী করতে প্রতি দলবদলেই নেইমারকে ফিরিয়ে আনার জন্য বার্সা কর্তৃপক্ষকে বারবার চাপ দিচ্ছিলেন মেসি। পরিস্থিতি এখন উল্টো। বার্সেলোনায় না থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। ফলে নেইমার চাইছেন পিএসজিতে গিয়ে তার সঙ্গে জুটি বাঁধুক প্রিয় বন্ধু। মেসিকে কেনার জন্য পিএসজি কর্তৃপক্ষকে নাকি বলেছেনও ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
আমেরিকান গণমাধ্যম ইএসপিএন জানাচ্ছে, পিএসজির সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে মেসির সঙ্গে সরাসরি ফোনালাপ করেছেন নেইমার। শুধু নেইমার নয়, পিএসজির আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়াও নাকি মেসির সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে ইএসপিএন জানিয়েছে, এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়নি পিএসজি।
নেইমার-মেসির বন্ধুত্ব অনেক পুরনো। ২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ফিতে পিএসজিতে পারি জমানোর আগে বার্সেলোনার হয়ে চার মৌসুম খেলেছেন নেইমার। সেই সময়ে যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল ক্লাব পরিবর্তন করলেও সেটা ভাঙেনি। তবে দুই বন্ধুর আবারও একত্র হওয়ার বিষয়টা কিন্তু মোটেও সহজ নয়।
বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির চুক্তি ২০২১ সাল পর্যন্ত। তার আগে তাকে দলে ভেরাতে রিলিজ ক্লজের ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করতে হতে পারে পিএসজিকে। ধনী ক্লাবটি এতো মোট অঙ্কের যোগান দিতে পারলেও সেটা উয়েফার ‘ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’ নীতি ভঙ্গ হবে কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে। তবে মেসির চুক্তির বিশেষ এক শর্ত যদি ঠিক থাকে সেক্ষেত্রে বিনা রিলিজ ক্লজেই ক্লাব ছাড়তে পারবেন তিনি। তেমনটা হলে পিএসজির জার্সিতে মেসি-নেইমারকে দেখা যেতেও পারে!