Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ফারুক


১০ মার্চ ২০১৮ ১৯:৪০

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়েছেন ২০১৬ সালের জুনে। বোর্ডের সঙ্গে আপোস করতে রাজি হননি বলেই চলে যেতে হয়েছে তাকে, এমন একটা ধারণাও আছে। ইদানীং নির্বাচকদের নিয়ে যেভাবে প্রশ্ন উঠছে, সেটা নিয়ে আজ খোলামেলা কথাই বললেন ফারুক আহমেদ। সরাসরিই প্রশ্ন তুললেন নির্বাচকদের যোগ্যতা নিয়ে।

আজ বিসিবি অ্যাকাডেমিতে ঢাকা ক্লাবের হয়ে কলকাতা ক্লাবের হয়ে একটা প্রীতি ফুটবল ম্যাচে নেমেছিলেন। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন। বলেছেন, নির্বাচকদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত আরও।

তিনি জানান, ‘নির্বাচকদের স্বাধীনতা থাকতে হবে। প্রথমেই ঠিক করতে হবে, কাকে নির্বাচক বানাবেন। তার যোগ্যতা কতটুকু আছে। আর সে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কি না। বোর্ডের হাতেই সব ক্ষমতা। বোর্ড নির্বাচকদের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্বাধীনতা দিয়ে দেখতে পারে। যদি এর মধ্যে ভালো ফল না আসে, তাহলে তো সেই নির্বাচক কমিটি ভেঙে দেওয়ার সব ক্ষমতা বিসিবির আছে। আমি তো মনে করি এখনকার নির্বাচকদের ক্ষমতা খুবই কম। তারা স্বাধীনভাবে তো কাজ করতেই পারে না, তাদের যোগ্যতা নিয়েও কথা হতে পারে।’

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কোচ হওয়ার পর একটা সময় দুই স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি চালু করে বোর্ড। এরপর চন্ডিকাই একরকম সর্বেসর্বা হয়ে যান, দল নির্বাচনে তার মতটাই প্রাধান্য পেতে থাকে বেশি। চন্ডিকা চলে গেলেও এখনো নির্বাচকেরা আগের সেই স্বাধীনতা পাননি বলে মনে করেন ফারুক।

‘আমাদের আবার আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া উচিত। আগে যেমন নির্বাচক কমিটি দিয়ে কাজ হতো, ঠিক তেমনই। কমিটি থাকলে জবাবদিহির ব্যাপার থাকে। এখন কোনো নির্বাচককে যদি দল নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেন, সে কিন্তু বলতে পারবে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও যোগ করেন, ‘যদি নির্বাচক অনেক থাকে, তাহলে সমস্যা হবেই। তখন একজন বলবে, অমুককে নিলে ভালো হতো, আরেকজন বলবে, তাকে নাও। আসলে এমন পরিস্থিতিতে কে সিদ্ধান্তটা নিল, সেটা বোঝা যায় না। এখন আমরা দেখি, ম্যাচ শুরুর আগের দিন খেলোয়াড় ঢোকানো হচ্ছে। এটা নির্বাচকেরা কতটুকু জানেন, আমরা জানি না। পত্রিকায় পড়েছি, আসলে তারা এসবের কিছুই নাকি জানেন না।’

গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের দলে একের পর এক পরিবর্তন নিয়েও প্রশ্ন তুললেন ফারুক, ‘যেকোনো ভালো কাজ আসলে এমনি এমনি হয় না। এর পেছনে একটা প্রক্রিয়া থাকে। এই প্রক্রিয়াটা থেকে বোধ হয় আমরা বেশ দূরে সরে এসেছি। এই জিনিসটা ঠিক করা দরকার। এই যেমন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজে ৩২ জন খেলোয়াড়কে ডাকা হয়েছে। তিন সংস্করণ মিলে খেলেছে ২৮ জন। এতে খেলোয়াড়েরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। দলটাকে থিতু করতে হবে। ২৮ জন খেলোয়াড়কে তিন সংস্করণে খেলানোর কোনো যুক্তিই নেই। ঠিক করতে হবে আমরা কোন খেলোয়াড়কে কোথায় খেলাতে চাই। দল নির্বাচনে ইদানীং খুব বেশি পরিবর্তন হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর