ওডেগার্ডই মধ্যমাঠে জিদানের নতুন জ্বালানি
৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:৩০
করোনাভাইরাসের কারণে বড়সড় লোকসান গুণতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। আর তাই তো ২০২০/২১ মৌসুমের আগে নিজেদের স্কোয়াডে নতুন কোনো খেলোয়াড়ই ভেড়াতে পারেনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্লাবটি। কিন্তু নতুন মৌসুমে লা লিগা জয়ের জন্য দলে নতুন খেলোয়াড়ের প্রয়োজন। তবে কি করা? রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরিন্তিনো পেরেজ জিদানকে ধার থেকে এনে দিলেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা তরুণ মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ডকে। আর ওডেগার্ডই যেন জিদানের নতুন জ্বালানি হতে যাচ্ছে রিয়ালের মিডফিল্ডে।
লুকা মদ্রিচের বয়স হয়েছে এবং সেই সঙ্গে হারাচ্ছেন নিজের জৌলুস, তবে রিয়াল মাদ্রিদ সবসময় শিরোপা জিততে চায় তাই তো তাদের সবসময় সেরা খেলোয়াড়ের প্রয়োজন। লুকা মদ্রিচের বয়স হলেও এখনই ক্লাব ছাড়ছেন না তিনি, তবে তার জায়গায় এবার দলে যোগ দিয়েছেন নরওয়ের বিস্ময়বালক মার্টিন ওডেগার্ড। গেল মৌসুম ধারে রিয়াল সোসিয়েদাদে দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন ওডেগার্ড।
আর তাই তো এবার পুরস্কার স্বরূপ নিজের ক্লাবে ফিরে আসার সুযোগ মিলেছে ওডেগার্ডের। জিদানের রিয়াল মাদ্রিদ দলের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ার নিশ্চয়তা নিয়েই ফিরেছেন ওডেগার্ড। ধার থেকে দলে ফেরানো হলেও তাকেই রিয়াল মাদ্রিদের নতুন সাইনিং বলা চলে। ২০১৯/২০ মৌসুমে ওডেগার্ড ৭ গোল এবং ৯ অ্যাসিস্ট নিয়ে শেষ করেন। যা রিয়াল মাদ্রিদের সকল মিডফিল্ডারের চেয়ে বেশি। কেবল টনি ক্রুস ওডেগার্ডের সঙ্গে লড়াই করতে পেরেছেন এই পরিসংখ্যানে। ক্রুস গেল মৌসুমে ৬ গোল এবং ৮টি অ্যাসিস্ট করেছেন।
কেবল গোল কিংবা অ্যাসিস্টই নয়, ওডেগার্ড দুর্দান্ত একজন ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার। এছাড়াও দূরপাল্লার শটেও দুর্দান্ত এই তরুণ। গেল মৌসুমে ৭টি গোলের মধ্যে ৪টি গোলই ওডেগার্ড করেছেন দূরপাল্লার শটে। এছড়াও গোলের সুযোগ তৈরিতেও দুর্দান্ত ওডে। গেল মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডারদের মধ্যে কেবল টনি ক্রুসই ওডেগার্ডের চেয়ে গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করতে পেরেছিলেন। ক্রুস ৯৭টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন আর ওডেগার্ড করতে পেরেছিলেন ৭৫টি। এছাড়া গোলের বড় সুযোগ তৈরিতে অবশ্য ক্রুসকে পেছনে ফেলেন এই নরওয়েজিয়ান। ওডে যেখানে ১৪টি বড় সুযোগ তৈরি করেছিলেন, ক্রুস সেখানে করেছিলেন ১২টি।
কেবল আক্রমণভাগেই নয়, ওডেগার্ড দলের প্রয়োজনে রক্ষণাত্মক কাজগুলোও করে থাকেন। গেল মৌসুমে ওডেগার্ডের সফল ট্যাকেল রেট ৬৪ শতাংশ, যেখানে রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার কার্লোস ক্যাসেমিরোর এই হার ৬১। অর্থাৎ দলের প্রয়োজনে রক্ষণেও সাহায্য করতে পারেন ওডেগার্ড। আর তাই তো নতুন কোনো খেলোয়াড়কে দলে ভেড়াতে না পারলেও জিনেদিন জিদান ভরসা রাখছেন তরুণ এই মিডফিল্ডারের ওপরেই।
রিয়াল সোসিয়েদাদের সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের মৌখিক চুক্তি ছিল দুই বছরের জন্য ওডেগার্ড তাদের দলে ধারে খেলবেন। তবে জিনেদিন জিদান জানালেন না, আর নয় অনেক হয়েছে। ওডেগার্ড রিয়ালের খেলোয়াড় তাকে ফিরতে হবে রিয়ালেই। আর দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়েই রিয়ালে আবারও ফিরেছেন এই নরওয়েজিয়ান। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত রিয়ালের পক্ষে নতুন খেলোয়ার ভেড়ানো বিলাসিতা হত, তাই তো ক্লাবের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে লা লিগার গেল মৌসুমের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারকে ফেরানোর জন্য উঠে পড়ে লাগেন জিদান। আর কোচ জিদানের কথা ফেলতে পারেননি ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরিন্তিনো পেরেজও। তাই তো এনে দিলেন জিদানের মিডফিল্ডের নতুন এই জ্বালানি মার্টিন ওডেগার্ডকে।
করোনাভাইরাস জিনেদিন জিদান নতুন সাইনিং ফ্লোরিন্তিনো পেরেজ মার্টিন ওডেগার্ড রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগা