ইরানি কুস্তি চ্যাম্পিয়ন নাভিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:০৮
২০১৮ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করার দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো ইতানের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগির নাভিদ আফকারির। গোটা বিশ্বের আন্দোলনের মুখেও ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা নিশ্চিত করেছে এই সংবাদটি। শনিবার সকালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় বলে জানায় ইরানি সংবাদমাধ্যম।
নাভিদ আফকারির পক্ষে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে বিশ্ব খেলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েসন-ডাব্লিউপিএ পর্যন্ত তাকে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার আন্দোলনে শামিল হয়। খেলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েশনে প্রায় ৮৫ হাজার খেলোয়াড় এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।
ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর ব্রেন্ডন স্কওয়াব বলেন, ‘এটা একটু অমানবীয় ঘটনা। একজন খেলোয়াড়কে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার ঘটনাটি আসলেই অমানবিক।’
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আফকারি এবং তার ভাই ভাহিদ আফকারিকে নিরাপত্তাকর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার দায়ে গ্রেফতার করা হয়। এর ঠিক মাস খানেক আগে শিরাজ শহরে ইরান সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা, এবং সেই সময়ই নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেন তারা।
অবশ্য কেবল নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যার দায়েই তাকে মৃত্যদণ্ড দেয়নি আদালত, সেই সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও করা হয় তার বিরুদ্ধে। নাভিদ আফকারিকে মৃত্যুদণ্ড এবং তার দুই ভাই ভাহিদ আফকারিকে ৫৪ এবং হাবিব আফকারিকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে নাভিদ আফকারি আদালতকে জানান, তিনি হত্যা কাণ্ডের দায় স্বীকার করেন তার ওপর অত্যাচার করার কারণে। ব্রিটিশ সরকারের দক্ষিণ এশিয়া এবং কমনওয়েলথের মন্ত্রী লর্ড আহমেদ ইরানি সরকারকে নাভিদ আফকারিকে মৃত্যদণ্ডে দণ্ডিত না করার জন্য অনুরোধ করেন।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং আল্টিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপের প্রেসিডেন্ট ডানা হোয়াইটও অনুরোধা জানাত আফকারিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত না করার জন্য। গেল বছর প্রায় ২৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায় চায়নার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে ইরানই দ্বিতীয়।
অগ্নি নিরাপত্তা ইরানি কুস্তিগির ইরানের চ্যাম্পিয়ন নিরাপত্তাকর্মীকে খুন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সরকার বিরোধী আন্দোলন