ইউএফসি ফাইটার কনর ম্যাকগ্রেগরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ খবর গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) এর। তার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের কোরসিকাতে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের চেষ্টার অভিযোগ করেন এক বিবাহিত নারী। এরপর অবশ্য অভিযোগ থেকে মুক্তিও পেয়েছেন তিনি। তবে এই অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার পর বেশ ক্ষেপেছেন এই ফাইটার। নিজের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে তিনি লেখেন, ‘আমি এভাবে আর চলতে পারছি না। আমি অনেক ভেঙে পড়েছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, ‘সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ ম্যাকগ্রেগরের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’ এরপর অবশ্য তার আইনজীবীরা তাকে পুলিশ হেফাজত থেকে কিছু সময়ের মধ্যেই বের করে আনেন। কনরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নিজের ব্যক্তিগত জাহাজে অবসর যাপনের সময় এক বিবাহিত নারীকে নিজের গোপন অঙ্গ প্রদর্শন করেন কনর।
তবে কনরের পক্ষে তার আইনজীবী এমানুয়েল রামোন আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে সে সময় এই বিষয় নিয়ে কোনো প্রকার বিবৃতি দেননি কনর। কিন্তু আর চুপ করে থাকতে পারলেন না এই ফাইটার। অবশেষে নিজের টুইটার থেকে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এবং তার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদ করেন তিনি।
কনর লেখেন, ‘আমি আর এভাবে চলতে পারছি না। আমি অনেক ভেঙে পড়েছি।’
আরেকটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘তোমরা সবাই আত্মহত্যার বিপক্ষে কাজ করো আবার আমাকে সেদিকেই ঠেলে দিচ্ছো। আমি আমার সন্তানদের জন্য শক্ত থাকার চেষ্টা করি আর যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের জনও। আমাকে করা সকল অপমানের জন্য ধন্যবাদ, তোমরা সবাই দুমুখো।’ যদিও পরবর্তীতে তার দুটি টুইটই তিনি মুছে দেন।
গেল জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ক্যাররোনেকে মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে হারানোর পর থেকে লড়াই নামতে দেখা যায়নি। এবছর আরও তিনবার লড়াইয়ে নামার কথা ছিল ম্যাকগ্রেগরের। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু ভেস্তে গেছে। গেল জুনে অবসরের ঘোষণা দেন এই আইরিশ ফাইটার। এটি চার বছরের ম্যাকগ্রেগরের তৃতীয়বার অবসর ঘোষণা।
তবে জানা গেছে ইউএসএডিএ কনরের শরীরে কোনো নিষিদ্ধ ড্রাগ আছে কিনা তা পরীক্ষা করেছে। এর পেছনের কারণ একটাই হতে পারে তা হচ্ছে আবারও তিনি অবসর ভেঙে লড়াইয়ে ফিরছেন।