গত ইশতেহারই অস্বীকার সালাউদ্দিনের, মানিক বলছেন ‘ধোঁকাবাজ’
২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:৩৩
ঢাকা: গত নির্বাচনের আগে যে ইশতেহার দিয়েছিলেন, তা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন কাজী সালাউদ্দিন। চার বছর পরে এসে নতুন ইশতেহার ঘোষণার সময় গত ইশতেহারকে গায়েই মাখাচ্ছেন না তিনি। তবে বলছেন, গত ইশতেহারের ৭০-৭৫ ভাগ দফা পূরণ করা হয়েছে। দেশের ফুটবল উন্নয়নে গেলবার এমন বুলি দিয়ে সেগুলোকে এমন অস্বীকারের অর্থ হলো কাউন্সিলরদের ধোঁকা দেয়া, জনগণকে ধোঁকা দেয়া বলছেন সভাপতি পদে দাঁড়ানো স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক।
আজ রবিবার দুপুরে এক পাঁচ তারকা হোটেলে আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মিলিত প্যানেলের পরিচিতি অনুষ্ঠানে তিনি এই অস্বীকার করেন। সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন ইশতেহার ঘোষণা করেন।
গেল ইশতেহারের বেশিরভাগ দফা নিয়ে যেখানে এখনও প্রশ্নবিদ্ধ বাফুফে সেখানে নতুন ইশতেহার পূরণ করতে পারবেন কী না এমন প্রশ্নের জবাবে গত ইশতেহারটাই অস্বীকার করে বসলেন কাজী সালাউদ্দিন।
‘ওই ইশতেহারের অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম না। তরফদার (তরফদার রুহুল আমিন) ওই সময় সমন্বয়ক হিসেবে ছিল। আমার দেয়া ইশতেহারের পাশাপাশি নতুন ইশতেহার দিয়েছেন তিনি। সো ওই ইশতেহার আমার না।’
তবে অস্বীকার করলেও গত ইশতেহারের ৭০-৭৫ ভাগ পূরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন ১২ বছর বাফুফের সভাপতি পদে থাকা এই সংগঠক।
তার এই অস্বীকৃতি জানানোকে ব্যর্থ সংগঠকের মানসিকতা বলে উল্লেখ করে সভাপতি পদপ্রার্থী
শফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, গত ইশতেহারে আমার জানা মতে ৪-৫টি দফা হয়তো পূরণ হয়েছে, বাকী সবগুলোই ব্যর্থ। কোনটাই সফলভাবে করতে পারেননি। ওই ইশতেহারগুলো নিয়ে কাউন্সিলরদের কাছে প্রতিজ্ঞা করে তিনি চেয়ারে বসেছেন। গত ইশতেহারই তিনি অস্বীকার করেছেন। তার মানে কাউন্সিলরদেরকে তিনি ধোকা দিয়েছেন। ব্যর্থতার দায় ওনার নিজেরই। কারণ ১২ বছর তিনিই ওই চেয়ারটিতে বসে আছেন।
এদিকে বর্তমান ফুটবলের উন্নতি জানতে চাইলে সালাউদ্দিন অতীত টেনে উল্লেখ করেন, ‘যখন আমরা ফুটবল খেলেছি আমরা একটা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হই কোরিয়াকে হারিয়ে। পরে দেখি ওই টিম কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় টিম। তখন আমরা জাতীয় দলের সঙ্গে খেলতাম না। এখন আমরা জাতীয় দলের সঙ্গে খেলি। এএফসি কাপ, এশিয়ান গেমস, বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এগুলো অংশ নিচ্ছি। মাঝে আমরা তিন বছর জাতীয় দলের কোন কার্যক্রম করতে পারিনি তাই র্যাঙ্কিংয়েও অবনতি হয়েছে। এখন বাড়ছে।’
অতীতে জাতীয় দলের সঙ্গে খেলতো বাংলাদেশ এমন কথাকে অতীতের ফুটবলারদের অসম্মান করা হয়েছে উল্লেখ করে মানিক বলেন, ‘উনি খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করতে চাচ্ছেন না। অস্বীকারগুলো তিনি সবসময় করে আসছেন। উনি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় ছিলেন। উনি দেশের কোচদের সম্মান করেন না। উনি জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলারদেরও সম্মান করতে ভুলে যান। উনি কৃতজ্ঞতা দেখাতে না চাইলেও অকৃতজ্ঞতা দেখাতে পারেন না। কারণ সাবেক ফুটবলাররাই দেশের বর্তমান ফুটবলারদের আইকন। তাদেরকে নিয়ে সমালোচনার কোন যুক্তি নেই।’
গত ১২ বছরেও এক জিম তৈরি করতে পারেনি কাজী সালাউদ্দিন। এবার ইশতেহারে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে একটা দফা হিসেবে। অর্থের কারণেই নাকি জিম তৈরি করা সম্ভব হয়নি দাবি করেন তিনি। তার এই দাবি ব্যর্থতা ঢাকার অজুহাত হিসেবে মনে করে মানিক, ‘আমি ২০০৮ সালে যখন জাতীয় দলের কোচ তখন জিমের একটা নকশা তাকে দিয়েছিলাম। তিনি সেটি বাক্সবন্দী করে রেখেছেন। খুলেও হয়তো দেখেননি।’
শুধু তাই নয় সালাউদ্দিনের আমলেই মানিক জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়কেও তুলে আনলেন, ‘তখন একজন গোলকিপার কোচের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলাম, উনি বলেছেন দরকার নেই। ট্রেনিং শেষে গোলকিপারদের নিয়ে কাজ করতে। তার মানে তার দূরদর্শিতার অভাব আছে। টাকার কোন সমস্যা না। মানসিকতা থাকা লাগে।’
কাজী সালাউদ্দিন বাফুফে নির্বাচন শফিকুল ইসলাম মানিক সভাপতি পদ