টেস্ট চ্যাম্পিয়রশিপের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজের আগে টাইগাররা পুরোদস্তুর ঘরবন্দী ১৪ দিন কাটাবেন এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সঙ্গত কারণেই তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই শর্ত মেনে বাংলাদেশ সিরিজটি খেলবে না। বিসিবি সভাপতির সেই সুরের সঙ্গে এবার সুর মেলালেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপিও। সাফ জানিয়ে দিলেন, এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এই বক্তব্যের স্বপক্ষে তার যুক্তি হলো, একটি সিরিজের আগে ক্রিকেটাররা ১৪ দিন ঘরবন্দী কোয়ারেনটাইন করলে তার ন্যূনতম ফিটনেসও থাকবে না। তবে যদি এমন হত কোয়ারেনটাইনে থাকাকালীন তারা ফিটনেস ও স্কিল অনুশীলন করতে পারতেন তাহলে হয়ত বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করত না সফরকারী বাংলাদেশ। কেননা আখেরে সিরিজটি কোনো সাধারণ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ বলে কথা।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জয়তু শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন চেস’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে জাহিদ আহসান রাসেল একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, ১৪ দিন যদি রুমের মধ্যে আটকা থাকি। একটা খেলোয়াড়ের ফিটনেস হলো বড় বিষয়। রুমের মধ্যে বন্দী থাকলে কখনোই একজন খেলোয়াড়ের ফিটনেস ঠিক থাকবে না। আমরা বলেছি, হোটেল আমরা থাকতে পারি, কোয়ারেনটাইনে সময়টা একটু কমিয়ে দেয়া হোক আর হোটেলের সুযোগ-সুবিধা জিম থেকে শুরু করে সুইমিংসহ অন্যান্য সুযোগ যাতে আমাদের খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়। এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলেছি আমরা। আশা করছি আজকের মধ্যেই আমরা একটা ভালো সিদ্ধান্ত পাবো। আমরা চাই এই সিরিজটায় অংশগ্রহণ করতে।’
মূলত এ কারণেই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সফরকারী বাংলাদেশের তিন ম্যাচ সিরিজের টেস্ট এখনো ঝুলে আছে। কেননা কোয়ারেনটাইনের সময় কমানো ও কোয়ারেনটাইনকালীন অনুশীলেনের ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দাবী দাওয়া এখনো মেনে নেয়নি দেশটির কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স। ফলে অনেকেই ২৪ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় সিরিজটির সলিল সমাধি দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু গতকাল বিসিবি’র ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান যা জানালেন তাতে সিরিজটির আশা এখনো বেঁচে আছে।
তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু সফর পেছাচ্ছে আমাদের যে তারিখে যাওয়ার কথা ছিল সেটা হচ্ছে না। ওরা চেষ্টা করছে। ওরা চাচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিরিজটা করতে। আমার মনে হয় ওরা ইতিবাচক আছে। আজ কালকে ওদের বন্ধ। আশা করছি সোমবার বা মঙ্গলবার চূড়ান্ত কিছু চলে আসবে। যদি ইতিবাচক হয় আমরা আগামি মাসের ৭-১০ তারিখের মধ্যে যেতে পারি। যেহেতু ওদের যে শ্রীলঙ্কান টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথা ছিল সেটা এখন নিশ্চিত না।’