নেইমার-এমবাপের গোলে টানা চতুর্থ জয় পিএসজির
৩ অক্টোবর ২০২০ ১০:০৮
দুই গোল এক অ্যাসিস্ট করে একাই অনেকটা পিএসজির জয় নিশ্চিত করেন নেইমার জুনিয়র। তবে এদিন তিনি একাই দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেননি, তার সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপেও ছিলেন সমানে সমান। নিষেধাজ্ঞার সকল খড়া কাটিয়ে নেইমার এখন পুরোদস্তর ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিএসজিকে লিগের শীর্ষস্থান ফিরয়ে দিতে। আর এমন সময়েই অ্যাঞ্জার্সকে আতিথ্য দেয় পিএসজি। ঘরের মাঠ পার্ক ডে প্রিন্সে ৬-১ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।
ম্যাচের সাত মিনিটে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জির দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। এর তিন মিনিট পর নেইমারের দুর্দান্ত এক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় তবে সে যাত্রায় ব্যর্থ হন এই ব্রাজিলিয়ান। তবে প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হলেও হতাশ হননি নেইমার, একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে গেছেন আর সফলতাও এসেছে তাতে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটের মাথায় কিলিয়ান এমবাপে ডান প্রান্ত থেকে নেইমারের উদ্দেশে থ্রু বল দেন, আর নেইমার তা জালে জড়ান। পিএসজি এগিয়ে যায় ২-০ গোলের ব্যবধানে আর এরপরেই বিরতিতে যায় দু’দল।
বিরতি থেকে ফিরে মাত্র দুই মিনিটের মাথায় ড্রাক্সলারের কাছ থেকে পাওয়া বলে জোরালো শট নেন ফ্লোরেঞ্জি তবে তা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। আর তখন বল পেয়ে যায় নেইমার, একদম ভুল না করে নেইমার বল পাঠিয়ে দেন জালে। পিএসজির এগিয়ে যায় ৩-০ গোলের ব্যবধানে যার মধ্যে দুটি গোলই করেন নেইমার।
এর মিনিট চারেক পর অ্যাঞ্জার্সের হয়ে একটি গোল শোধ করেন ইসমায়েল ত্রাওরে। সতীর্থের ক্রসে খুব কাছ থেকে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ডিফেন্ডার। অবশ্য ৫৭ মিনিটে হুলেন ড্রাক্সলারের গোল করে ব্যবধান ৪-১ করেন। ডি-বক্সের ভেতর থেকে এই জার্মান মিডফিল্ডারের শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। ৭১ মিনিটে জালের দেখা পান ড্রাক্সলারের বদলি নামা ইদ্রিস গায়া। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার ডান পায়ের জোরালো শট সফরকারী এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জাল খুঁজে নেয়।
ম্যাচের তখন ৮৪ মিনিট চলছে পিএসজি ৫-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয়ের জন্য প্রহর গুনছে। তখনও অবশ্য স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপে যদিও নেইমারের প্রথম গোলে অবদান ছিল তারই। এবার পালা এমবাপের, পাবলো সারাবিয়ার পাস থেকে বল জালে জড়িয়ে নাম লেখান স্কোরশিটে আর তাতেই ৬-১ গোলের ব্যবধানে জিতে পূর্ণতা পায় পিএসজি।
এই জয়ে লিগে ছয় ম্যাচে চার জয় ও দুই হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রেনে। সমান তিনটি করে জয় ও হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে অ্যাঞ্জার্স।
কিলিয়ান এমবাপে নেইমার জুনিয়র পিএসজি অনাম এঞ্জার্স পিএসজির বড় জয় ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান