ক্রিকেটারদের ‘সিরিয়াসনেস’ মুগ্ধ করেছে ইমরুলকে
৫ অক্টোবর ২০২০ ১৯:২০
করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধ হয়েছিল গত মার্চে। তবে ক্রিকেটাররা কিন্তু সময়টা শুধু শুয়ে-বসে কাটাননি। ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন। পেসার তাসকিন আহমেদ যেমন রাজধানীর বসিলায় গিয়ে বালুর চড়ে দৌড়েছেন। মুশফিকুর রহিম ঘরকেই বানিয়ে ফেলেছিলেন ‘মিনি জিম’! করোনার ঘরবন্দি সময়ে ফিটনেস নিয়ে টুকটাক কাজ করেছেন প্রায় সব ক্রিকেটারই। আর অনুশীলন শুরু হতেই সবাই কোমড় বেঁধে ঘাম ঝড়াতে শুরু করেছেন। ক্রিকেটাররা এই খাটুনির ফলাফল দেখাচ্ছেন দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে। দেশের ক্রিকেটারদের এই ‘সিরিয়াসনেসে’ মুগ্ধ অভিজ্ঞ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস।
শ্রীলঙ্কা সফর ভেস্তে যাওয়াতে আপাতত দু’দলে ভাগ হয়ে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছেন ক্রিকেটাররা। এই প্রস্তুতি ম্যাচে কিছু ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স দেখে বুঝার উপায় নেই যে প্রায় ছয় মাস প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন তারা। ইমরুল নিজেও ভালো পারফর্ম দেখিয়েছেন। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে আজ দারুণ এক ফিফটি (৬০ রান) তুলে নিয়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিনের খেলা শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইমরুল বলছিলেন, ‘সাধারণত যেটা হয় এরকম একটা গ্যাপের পরে প্রত্যেকটা প্লেয়ারই প্রথম দুইটা ম্যাচ একটু ক্যাজুয়াল বা নার্ভাস থাকে। ব্যাটিং, বোলিং দুটিতেই। কিন্তু আমার মনে হয় সবাই নিজের কাজটা ঠিকভাবে করেছে এই গ্যাপে। যার জন্য সমস্যা হয়নি। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা বোলার শতভাগ এফোর্টে বোলিং করেছে। এবং রিদমে মনেই হয়নাই যে তারা ক্রিকেটের বাইরে ছিল। প্রোফেশনালি প্রত্যেকটা প্লেয়ারই সিরিয়াস হয়েছে, যেটা আমদের ক্রিকেটের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ব্যাটসম্যানরাও চেষ্টা করেছে উইকেটে থেকে রান করার। সহজে রান করতে পারেনি, বোলাররা সহজে রান করতে দেয়নি, কষ্ট করেই রান করতে হয়েছে।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজ ভেস্তে গেলেও ক্রিকেটারদের ক্রিকেটের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রস্তুতি ম্যাচ হচ্ছে, তারপর ওয়ানডে সিরিজসহ আরও ক্রিকেট আয়োজন করা হচ্ছে সামনে। এমন দারুণ উদ্যোগে বিসিবিকে ধন্যবাদ দিতে ভুললেন না ইমরুল।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলেন, ‘অনেকদিন পর খেলা শুরু হয়েছে এটা আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় স্বস্তির বিষয়। খেলোয়াড় হিসেবে বাসায় বসে থাকাটা সবচেয়ে কষ্টের বিষয়। আমরা মাঠে এসে খেলতে পারছি এবং সামনে আরও কিছু টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য হচ্ছে। যেগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা অংশ নিতে পারবো। বিসিবিকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয় এরকম একটা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।’
ইমরুল কায়েস করোনাকালে ক্রিকেট ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি ম্যাচ বাংলাদেশ ক্রিকেট