করোনার কোপে ফুটবল ছাড়তে চেয়েছিলেন কাভানি!
৭ অক্টোবর ২০২০ ১৬:৫০
মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে এসেছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে পৃথিবী। তবে ভাইরাসটির কারণে কয়েক মাস আগের পৃথিবী ছিল অন্য রকম। লাশের সংখ্যা আর স্বজন হারানোর আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছিল চারপাশ। মৃত্যু আতঙ্ক গ্রাস করেছিল পুরো বিশ্বকে। করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে ইউরোপ-আমেরিকায়। এডিনসন কাভানি বলছেন মার্চ, এপ্রিল, মে মাসের সেই কঠিন সময়টাতে ফুটবল ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ার চিন্তাও নাকি করেছিলেন তিনি।
দলবদলের শেষ দিনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন কাভানি। পিএসজি চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে চায়নি। ফলে ফ্রি’ই ছিলেন উরুগুয়ান স্ট্রাইকার। দলবদলের শেষ দিনে এসে ফ্রি’তে কাভানির সঙ্গে চুক্তি করেছে ম্যানচেস্টার ক্লাবটি। তবে কোনো ট্রান্সফার ফি দিতে না হলেও কাভানিকে মোটা অঙ্কের বেতনই দিতে হবে ইউনাইডেটকে। মৌসুমপ্রতি উরুগুয়ান তারকার বেতন ১০ মিলিয়ন ইউরো।
মঙ্গলবার নতুন গন্তব্য সম্পর্কে জানতে কাভানির মুখোুমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনার একটি রেডিও। বিভিন্ন কথায় উঠে আসে করোনার কঠিন সময়ের প্রসঙ্গ।
উরুগুয়ান তারকা বলছিলেন, ‘পরিবারের স্বাস্থ্যের বিষয়টি আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি ওই সময়ে ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। আমি বিষয়টি নিয়ে গভীর চিন্তা করেছি। খেলা ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ার সম্ভাব্যতা নিয়ে ভেবেছি।’
কাভানি বলেন, ‘করোনার কারণে আমাকে অনেক ভুগতে হয়েছে। পরিবারকে নিয়ে, প্রেমিকাকে নিয়ে। সেই সময়টা যে কঠিন ছিল এটা মানতেই হবে। কারণ মনের মধ্যে ভয় তৈরি করেছিল। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ আমরা ভালোভাসে সেরে উঠেছি।’
করোনা কাভানিকে নতুন ক্লাব খুঁজে নেওয়াতেও বিড়ম্বনায় ফেলে দেয়। গত মৌসুম শেষ এবং এবারের নতুন মৌসুম শুরুর মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল মাত্র কয়েক দিনের। এদিকে, পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যায় কাভানির। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই ক্লাব নির্ধারণ করতে হয়েছে, কারণ নতুন মৌসুমের খেলা শুরু হয়ে যাচ্ছিল।
এ বিষয়ে কাভানি বলছিলেন, ‘আপনার মনের মধ্যে উদ্বেগ ঢুকে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। লিগগুলো শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং আমি একটি দলের খোঁজ করছিলাম। অনেক অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তা ছিল। দিনের পর দিন চলে যাচ্ছিল এবং আমার পরিবার, বন্ধুরা ও প্রত্যেকে জানতে চাইছিল যে, আমি কোথায় খেলব। এখন আমি এখানে (ম্যানচেস্টারে)। আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে খুবই খুশি এবং দলটির জার্সি গায়ে তোলার অপেক্ষায় আছি।’