Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উন্নতির সিঁড়ি পেলেন অচেনা তিন তরুণ


৮ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪৬

শফিকুল ইসলাম, রেজাউর রহমান রাজা ও নোমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি কর্তৃক সদ্য ঘোষিত হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে (এইচপি) এই তিন ক্রিকেটারের নাম দেখে কিছুটা ধাক্কাই খেতে হল। কারা এরা? দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ধরণের ক্রিকেটে আহামরি পারফর্ম করেছেন বলে তো জানা নেই। তবুও জাতীয় দলের পাইপলাইনেই এলেন কী করে? তিনজনের আগমনেই তো বিস্ময়কর। প্রাসঙ্গিক এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে যোগাযোগ করা হল জাতীয় দলের নির্বাচকমণ্ডলীর সঙ্গে। এবং তিনজনের পক্ষেই তারা ইতিবাচক মন্তব্য করলেন।

বিজ্ঞাপন

কেননা এই তিনজনই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। আগামীতে যেন আরো ভাল করতে পারেন এবং লাল সবুজের ক্রিকেট সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন সেই লক্ষ্যেই তাদের এইচপি দলে জায়গা করে দিয়েছেন নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যরা। আর তারাও পেয়ে গেলেন উন্নতির সিঁড়ি। আখেরে এইচপি জায়গাইটাইতো ওমন।

এবারের এইচপি স্কোয়াডে ব্যাটসম্যান ও স্পিনারের তালিকায় ৭ জন করে ক্রিকেটার রাখা হলেও পেসারদের তালিকাটি একটু বড়। মোট ৯ ক্রিকেটার এখানে জায়গায় স্থান করে নিয়েছেন। সেখানে শরিফুল ইসলাম, মুগ্ধ, মৃত্যুঞ্জয়, শাহিন, সুমন ও অভিষেক ইতোমধ্যেই দেশের ক্রিকেটে স্বনামে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। কিন্তু শফিকুল, রেজা ও নোমান সতিক্যকার অর্থেই আনকোরা।

সঙ্গত কারণেই তাদের ব্যাপারে জানতে চাওয়া। আর সেই প্রেক্ষিতেই নির্বাচকমণ্ডলীর এমন মন্তব্য।

শফিকুল ইসলাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলছিলেন, ‘শফিকুল ইসলাম আমাদের সিস্টেমের প্লেয়ার। গত বছর ইমার্জিং কাপে ছিল, লক্ষ্ণৌ গিয়েছিল। আমাদের এইচপি দলের সঙ্গে ছিল। বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। রাজশাহী বিভাগের বেশ প্রতিশ্রুতিশীল প্লেয়ার। লক্ষ্ণৌ সফরের পর ও চোটে পড়ে। এরপরেই ক্রিকেটের বাইরে চলে যায়। তবে গত বছর এইচপির হয়ে খুবই ভাল বোলিং করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেট খুব বেশি খেলেনি। এক, দুই বছর খেলেছে। তবে যতটুকুই খেলেছে আমাদের কোচেসদের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।’

নোমান চৌধুরী চট্টগ্রাম বিভাগের পেসার। গত বছরই প্রথমবারের মত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্রিকেটে খেলেছেন। রেজাউর রহমান রাজাও তাই। সিলেট বিভাগের এই পেসার গত বছরই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তখন থেকেই তাদের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখছিলেন টাইগার প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। দুজনেরই বলের টেকনিক দেখে তার মনে হয়েছে অপার সম্ভাবনাময়। ক্রিকেটের উন্নয়নের আতুর ঘর হাই পারফলম্যান্স ইউনিটে এনে একটু ঘসামাজা করলেই আগামীর মাশরাফি, মোস্তাফিজ হয়ে উঠতে পারেন। সেকারণেই তাদের ডাকা।

বিজ্ঞাপন

নান্নুর মুখেই শুনুন, ‘রেজাউর রহমান রাজা ও নোমান চৌধুরী দুজনই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার। রেজাউর রহমান সিলেট বিভাগের। আর নোমান চৌধুরী চট্টগ্রাম বিভাগের। গত বছর ওরা প্রথমবারের মত সরাসরি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের এইচপি একটি ক্রিকেটারদের উন্নতির জায়গা। আমাদের মনে হয়েছে এইচপিতে ওরা খেললে আরও উন্নতি করবে ও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’

অবশ্য নোমান চৌধুরীর তুলনায় রেজাউর রহমান রাজা একটু বেশি পরিচিত। ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুতে একটু সাফল্যের স্বাদও পেয়েছেন। সিলেট ও পূর্বাঞ্চলের হয়ে ৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নিয়েছেন ২০ উইকেট। ইনিংসে ৪ ও ৫ উইকেট শিকার করেছেন একবার করে। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দিনে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

এইচপি দল নোমান চৌধুরী রেজাউর রহমান রাজা শফিকুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর