করোনাকালের আইপিএল জমে উঠেছে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে খুঁটি গাড়তে পারছে না কোনো দল। শীর্ষ পাঁচ দলের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র ৪। দর্শকরাও ক্রিকেট বিনোদন পাচ্ছেন মন ভরে। কারণ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাটা উইকেটে রান উঠছে মুড়িমুড়কির মতো। অপ্রত্যাশিত অনেক ঘটনাও ঘটছে। এই যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনির অভিজ্ঞ চেন্নাই সুপার কিংস ছয় ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে মাত্র ২টি। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব প্রায় সব ম্যাচেই জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করলেও এখন পর্যন্ত জিতেছে একটি মাত্র ম্যাচ (শনিবারের পাঞ্জাব-কলকাতা ম্যাচের আগ পর্যন্ত)। অপ্রত্যাশিত পারফরম্যান্সও দেখা যাচ্ছে।
মহেন্দ্র সিং ধোনির দিকে নজর ছিল সকলের। অনেকদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকা ভারতের সর্বকালের সফল অধিনায়ক কেমন করেন তা নিয়ে আগ্রহ ছিল। ধোনি ভক্তদের খুশি করতে পারেননি, ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। ওদিকে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে ম্যাচের পর ম্যাচ বেঞ্চে বসিয়ে রাখছে পাঞ্জাব। এসবের চেয়েও বড় অপ্রত্যাশিত হয়তো প্যাট কামিন্স আর গ্লেন ম্যাক্সওলের পারফরম্যান্স!
বিদেশিদের মধ্যে এই দুজন এবারের আপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। কিন্তু পারফরম্যান্স একেবারেই যাচ্ছে-তা। এবারের আসরের নিলামে প্যাট কামিন্স সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান পেসারকে ১৫.৫০ কোটি রুপিতে কিনেছে কলকাতা নাইট রা্ইডার্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা দাঁড়ায় ১৮ কোটি টাকার বেশি। সবচেয়ে দামি কামিন্স কলকাতার হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ২টি!
৬ ম্যাচ মিলিয়ে বোলিং করেছেন মোট ১৮ ওভার। রান খরচ করেছেন ১৫৫। অর্থাৎ একটি উইকেটের জন্য ৭৭.৫০ রান খরচ করতে হয়েছে কামিন্সকে। অজি পেসার ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন সাড়ে আটেরও বেশি (৮.৬০)।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নিলামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছেন। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব তাকে কিনেছে ১২.৭৫ কোটি রুপিতে। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। ম্যাক্সি প্রথম ছয় ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৫৬! সর্বোচ্চ ১৩, গড় ১২। স্ট্রাইকরেটও হতাশজনক, ৮৫.৭১। ছয় ম্যাচে ছক্কা মারতে পারেননি একটিও, চার মাত্র ৩টি।
একদিন আগে দামি ম্যাক্সওয়েলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন ভারতের সাবেক বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান বিরেন্দ্রন শেবাগ। ভারতীয় তারকা বলেন, ‘তার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটে। সে প্রতি নিলামে চড়া দামে কিক্রি হয় কিন্তু ফল ভালো করতে পারে না। তবুও কেন লোকে (ফ্র্যাঞ্চাইজিরা) তার পেছনে ছুটে আমি বুঝি না। আমার মনে হয় তার দাম ১০ কোটি রুপি থেকে নেমে ১-২ কোটিতে আসা দরকার। মনে রাখতে হবে সে সর্বশেষ ফিফটি করেছিল ২০১৬ সালের আইপিএলে।’