কোহলির ফেরার দিনে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গালোরের জয়
১১ অক্টোবর ২০২০ ০০:৫৯
আইপিএলের এবারের আসর মাঠে গড়ানোর শুরু থেকে রান খরায় ভুগছিলেন বিরাট কোহলি। আর এতেই তাকে ঘিরে চলছিল সমালোচনা। তবে কোহলির ব্যাটে যে মরচে ধরেনি তা সমালোচকদের জানিয়ে দিলেন টানা তিন ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করে। টানা তিন ম্যাচে বেশ হেসেছে কোহলির ব্যাট। এবারের আইপিএলে কোহলির ব্যাট সবচেয়ে বেশি হাসল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে। আর তাতেই ভর করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গলোর চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাল ৩৭ রানের বড় ব্যবধানে।
পড়ুন: রোমাঞ্চকর ম্যাচে পাঞ্জাবকে হারিয়ে শেষ হাসি কলকাতার
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বিরাট কোহলিকে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মাঠে নামতে হয় অ্যারন ফিঞ্চ আউট হয়ে ফিরলে। আর নেমেই চিরচেনা সেই কোহলির দেখা দিলেন। দলের বাকিদের ব্যাট এদিন না হাসলেও ক্যাপ্টেন কোহলি একাই টানলেন ব্যাঙ্গালোরকে। ব্যাট হাতে ফুলকি ছোটালেন আর রানের চাকা সচল রাখলেন। ৫২ বলে ৯০ রানে অপরাজিত থেকেই ব্যাঙ্গালোরের স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ দাঁড় করালেন ১৬৯ রানে।
এদিন কোহলির ব্যাট হাসলেও ব্যর্থ ছিলেন বাকিরা। ওপেনার দেভদ্যুত পাড্ডিকেলের ৩৪ বলে ৩৩ আর শিভাম দুবের ১৪ বলে ২২ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাঙ্গালোরের আর কোনো ব্যাটসম্যানই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তাই তো এক বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ৯০ রানের ইনিংসের পরেও স্কোরবোর্ডে রান সংখ্যা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৯ রান।
কোহলিদের দেওয়া ১৭০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে চেন্নাই। ধোনির দলের ব্যাটিংয়ের কোনো পর্যায়েই মনে হয়নি জেতার সম্ভাবনা আছে তাদের। উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে নামা শেন ওয়াটসন (১৪) এবং ফাফ ডু প্লেসিস (৮) ফিরেছেন পাওয়ার প্লেতেই। যেখানে পাওয়ার প্লেতে বল উড়িয়ে দ্রুত রান সংগ্রহের দিকে মনোযোগ থাকে দলগুলোর। সেখানে ব্যাঙ্গালোরের বোলারদের দাপটে ৬ ওভারে ২৬ রান তুলতেই সিএসকে হারায় উদ্বোধনী জুটির দুই ব্যাটসম্যান। চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের ধীর গতির ব্যাটিংয়ে প্রতি ওভারেই তখন বাড়ছিল রানরেট। আর শেষ পর্যন্ত বিশাল রানরেটের পাহাড়েই চাপা পড়ে ধোনির দল।
অম্বতি রাইডু ৪২ আর নারায়ণ জগদিশানের ৩৩ রান ছাড়া আর কেউই ২০’র কোটা স্পর্শ করতে পারেনি। আর শেষ পর্যন্ত চেন্নাইকে ডুবিয়েছে এই ধীর গতি ব্যাটিংটাই। চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য যখন ৮১ রানের প্রয়োজন আর হাতে বল মাত্র ৩৪টি, সে সময় ক্রিজে আসেন ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে তিনি উইকেটে থাকতে পেরেছিলেন সর্বসাকুল্যে মাত্র ৬টি বল। ৬ বলে এক ছক্কা মেরেই শেষ হলো ধোনির লড়াই। শেষ দিকে ডোয়াইন ব্রাভো এবং রবীন্দ্র জাদেজা দ্রুত ফেরার পর হারের প্রহর গুনতে শুরু করে চেন্নাই শিবির।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলতে পারে চেন্নাই। আর তাতেই ৩৭ রানের বড় জয় পায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। অপরাজিত ৯০ রানের ঝলমলে ইনিংসে খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি।
স্কোরবোর্ড:
ব্যাঙ্গালোর: ১৬৯/৪; (কোহলি ৯০*, পাড্ডিকেল ৩৩), (শারদুল ঠাকুর ২/৪০; দীপাক চাহার ১/১০)
চেন্নাই: ১৩২/৮; (অম্বতি রাইডু ৪২, নারায়ণ জগদিশান ৩৩), (ক্রিস মরিস ৩/১৯; ওয়াশিংটন সুন্দর ৩/১৬)
ফলাফল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৩৭ রানে জয়ী।
বাংলাদেশের দর্শকরা আইপিএল-এর সব ম্যাচ সরাসরি দেখতে পারবেন জিটিভিতে। এছাড়া কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই অনলাইনে দেখা যাবে র্যাবিটহোলবিডি’র ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ।
আইপিএল আরসিবি বনাম সিএসকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ চেন্নাই সুপার কিংস বিরাট কোহলি রয়্যালস চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর