Sunday 06 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিফলে গেল মুশফিকের সেঞ্চুরি, তামিমদের প্রথম জয়


১৫ অক্টোবর ২০২০ ২৩:০২ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২০ ০০:২৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাকালে দেশের ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের দুর্দাশা কাটছিলই না। এখনও অবশ্য কাটেনি। ব্যর্থদের তালিকায় নাম ছিল মুশফিকুর রহিমেরও। তবে প্রেসিডেন্ট’স কাপের তৃতীয় ম্যাচে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ আজ সেই আক্ষেপ ঘুচালেন দারুণভাবে। তামিম একাদশের বিপক্ষে এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। অবশ্য অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সেঞ্চুরিটা কাজে লাগেনি। তার দল যে হেরেছে বড় ব্যবধানে।

তামিম একাদশের বিপক্ষে ৪২ রানে হেরেছে নাজমুল একাদশ। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম হারের সাক্ষি হলো নাজমুল একাদশ। অন্য দিকে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল তামিম একাদশ।

বিজ্ঞাপন

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ একটা সময় মনে হচ্ছিল প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা তামিম একাদশের রান দেড়শ’ও হবে না। কিন্তু নয়ে নেমে শেখ মেহেদি হাসান দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেললে শেষ পর্যন্ত ২২৩ রানে পৌঁছে তামিমদের রান। তবুও টার্গেটটা বড় মনে হচ্ছিল না, ম্যাচটা যে ৫০ ওভারের।

কিন্তু জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার যেভাবে শুরু করলেন তাতেই চাপে পড়ে যায় নাজমুল একাদশ। মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলামের পেসের সামনে শুরুতে রান তুলতে পারেনি নাজমুল একাদশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা, আবার বলও নষ্ট করেছে অনেক।

সাইফ ২১ বল খেলে মাত্র ৭ রান করে আউট হয়েছেন। সৌম্য ছিলেন আর ধীরগতির। ৯ রানে আউট হয়েছেন ৪৭ বল খেলে। নড়বড়ে শুরুর পর মিডল অর্ডারে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হাসান শান্ত (১), আফিফ হোসেন ধ্রু (১৫) ও আগের ম্যাচের নায়ক তৌহিদ হৃদয়ও (৪)। তার মধ্যেও এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়ে গেছেন মুশফিক। আর তাতে বড় সঙ্গটা পেয়েছেন ইরফান শুক্কুরের কাছ থেকে।

পঞ্চম উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়েন দুজন। তাতে শুক্কুরের অবদান ৪০ বলে ২৪। শুক্কুর যখন ফিরছিলেন মুশফিকের রান তখন ষাটের ঘরে। সেখান থেকে দলকে জেতাতে না পারলেও ওভারের শেষ দিকে প্রান্ত বদল করে নিজের উইকটে আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিক।

১০৯ বল খেলে ৯টি চার ১টি ছয়ে ১০৩ রান করেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ৪৫.৫ ওভারে নাজমুল একাদশ গুটিয়ে গেছে ১৭৪ রানে। তামিম একাদশের তিন পেসার শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাইফউদ্দিন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। তরুণ শরিফুল ১০ ওভারে ৩৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। মোস্তাফিজ ৮ ওভারে ১৫ রান খরচায় ৩টি ও সাইফ ৮.৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট।

এর আগে তামিম একাদশের ২২১ রানের সংগ্রহে বড় অবদান মেহেদি হাসানের। ১০৮ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তামিম একাদশ। আগের ম্যাচে ২ রানে ফিরে যাওয়া তামিম আজ দারুণ কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, উইকেটে থিতু হলে ৪৫ বলে ৩৩ রান করে ফিরে হতাশ করেছেন।

ওদিকে উইকেটের অন্যপ্রান্তে যাওয়া-আসার মিছিলে নেমেছিলেন তার দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তরুণ তানজিদ হাসান ৫ বলে ৮ করে ফিরেছেন শুরুতেই। তিনে নেমে এনামুল হক বিজয় টিকতে পেরেছেন ১৩ বল। ১২ রান করে তাসকিনের বলে সৌম্য সরকারের ক্যাচ হয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফেরা মোহাম্মদ মিঠুন ২১টা বল খেলেছেন ঠিকই, কিন্তু রান করতে পেরেছেন মাত্র ৪! সরাসরি বোল্ড হয়েছেন নাঈম হাসানের বলে।

এরপর তরুণ শাহাদত হোসেন (৩) ও মোসাদ্দেক হোসেন মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪০ রান তোলেন। তামিম একাদশ মেরুদণ্ড বলতে হবে এই জুটিকে। মোসাদ্দেক ১২ রান ফিরেছেন। যুববিশ্বকাপ জেতা শাহাদত করেছেন ৩১ রান। তারপর শেষ দিকে এসে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে অসাধারণ সেটি জুটি গড়েন মেহেদি। উইকেটের চার পাশে শট খেলে ৫৭ বলে ৯টি চার ৩টি ছয়ে ৮২ রানের ইনিংসটি খেলেছেন তরুণ ক্রিকেটার। ৪৩ বলে ২০ রান করে তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।

শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান তোলে তামিম একাদশ। নাজমুল একাদশের হয়ে আল-আমিন হোসেন ৪৩ রানে তিন উইকেট তুলে নেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান ও রিশাদ হাসান।

তামিম একাদশ নাজমুল একাদশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বিসিবি প্রেসিডেন্ট'স কাপ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর