টেস্ট ক্রিকেটারের খোঁজে এইচপির নতুন কোচ
২৯ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৩৩
টবি র্যাডফোর্ড বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন গত আগস্টে। কিন্তু কাজ শুরু করলেন এই তো কদিন আগে। মহামারী করোনাভাইরাস তাকে কাজে যোগ দিতে দিচ্ছিল না। দেরিতে কাজে যোগ দেওয়া টবি এসেই বলে দিলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি করতে চান তিনি।
এইচপি দলকে মনে করা হয় জাতীয় দলের জন্য ক্রিকেটারদের তৈরি করার উপযুক্ত ক্ষেত্র। বৃহস্পতিবার (২৯) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলাপনে টবি বলেন, সেখানে টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি দিকে বেশি মনোযোগ থাকবে তার।
টেস্টে বাংলাদেশের দুর্বলতা পুরনো। মার্চে জিম্বাবুয়েকে হারানোর আগে টানা ছয় টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। নবীন আফগানিস্তানের বিপক্ষেও হারতে হয়েছে। টেস্ট র্যাংকিংয়ে দশ দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নয়ে। এই দুর্দশা নজরে পড়েছে টবি র্যাডফোর্ডেরও।
টবি দুই মেয়াদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহকারী কোচ ও ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ যখন ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলছিল তখন দলটির সহকারী কোচ ও ব্যাটিং পরামর্শক ছিলেন টবি। ওই সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দাঁড়াতেই পারেনি। ক্যারিবিয়ান পেসে কাবু হয়ে তিন দিনেই ম্যাচ হারতে হয়েছিল টাইগারদের।
বাংলাদেশের টেস্টের দুর্বলতাটা তখন থেকেই জানতেন টবি, ‘দুই বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলছিল তখন আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ছিলাম (সহকারী কোচ)। তিন দিনেই টেস্ট শেষ হয়ে গেল (বাংলাদেশের হার)। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও অন্যান্য পেস বোলাররা বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে উড়িয়ে দিল। কিন্তু তারপরই আমরা সাদা বলের ক্রিকেটে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) আলাদা একটা বাংলাদেশকে দেখলাম। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি উভয় সিরিজই জিতল তারা। আমি বোর্ডকে (বিসিবি) বলেছি, এমন খেলোয়াড় তৈরি করতে চাই যারা টেস্ট ক্রিকেটে দাঁড়াতে পারে। তারা টেকনিক্যালি ভালো হবে। ঘণ্টায় ৯০ মাইল বেগের বোলিং মোকাবিলা করতে পারবে, টানা পাঁচ ঘণ্টা ব্যাটিং করতে পারবে।’
টবি বুঝালেন, অর্থ ঝনকানি আর গ্লামার বা যে কারণেই হোক শুধু টি-টোয়েন্টির দিকে ঝোঁকা যাবে না। টেস্ট ক্রিকেটে ভালো হতে হবে। তাহলে বাকি ফরম্যাটগুলোতে এমনিতেই ভালো করা যাবে, ‘স্থানীয় কোচদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, তরুণ ক্রিকেটাররা আসলে পর্যাপ্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলে না। ফলে তারা মানসিকভাবে সব সময় স্কোর করতে চায়। আপনি যদি বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের দেখেন, কেন উইলিয়ামসন, বিরাট কোহলি, বেন স্টোকস, স্টিভ স্মিথ, তারা সব ফরমেটেই ভালো। তারা টেস্টের ভালো ক্রিকেটার। তাদের কাছে একটা দারুণ বেসিক আছে। আপনার কাছে বেসিক থাকে আপনি তা টি-টোয়েন্টি রুপে বিকশিত করতে পারবেন। ফলে আমি প্রথমে ছেলেদের সঙ্গে ভালো এবং কঠিন একটি কৌশল নিয়ে কাজ করছি।’