নাঈম, মৃত্যুঞ্জয়ের অর্ধশতকে এইচপি ‘এ’-‘বি’র প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র
৩ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৩৯
বিসিবি’র তত্ত্বাবধায়নে সোমবার (২ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা হাই পারফরম্যান্স দলের দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ মাঠে গড়ায়। খেলার দ্বিতীয় দিনে নাঈম শেখ এবং মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচটি ড্র হয়েছে। নাঈম শেখ দলীয় সর্বোচ্চ ৮৩ এবং মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
প্রথম দিন টিম ‘এ’ ৭ উইকেট ৪০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায়। সেজন্য অবশ্য তাদের উইকেট হারাতে হয়েছে ৭টি। জবাবে দ্বিতীয় দিনে টিম ‘বি’ মাত্র ২৬৬ রান তুলতেই হারায় সবকটি উইকেট। টিম ‘বি”র হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন নাঈম শেখ, তবে তার আক্ষেপ মাত্র ১৭ রানের জন্য হাতছাড়া করেছেন শতক। ১২৯ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ব্যক্তিগত ৮৩ রানে ফেরেন।
পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে বি দলের অধিনায়ক নাঈম শেখের উদ্বোধনী জুটিটা ছিল দুর্দান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুই ব্যাটসম্যান তোলেন ৭৭ রান, এরপর ইমন (৩৫) ফিরলেও উইকেটে টিকে থাকেন নাঈম। দলীয় ১৪২ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হলে ক্রিজে আসেন মৃত্যুঞ্জয়। আর চতুর্থ উইকেটে তোলেন ১০১ রান। তবে ২৪৩ থেকে ২৬৬ মাত্র ২৩ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারায় টিম ‘বি’।
‘এ’ দলের পক্ষে সুমন খান ৫৪ রানের খরচায় চারটি উইকেট শিকার করেন। সমান সংখ্যক উইকেট শিকার করতে আরেক তরুণ হাসান মুরাদ খরচ করেন মাত্র ৩৫ রান।
এর আগে সোমবার (২ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টিম ‘বি’র বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে আফিফ-আকবরদের টিম ‘এ’। প্রথম দিনে ১৩৬ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন আকবর আলী। দলের হয়ে ইনিংসের শুরুটা ভালই করেছিলেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও শাহাদাৎ হোসেন দিপু। দুজনের ব্যাটে ওপেনিং জুটিতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্নও বুনছিল টিম ‘এ’। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্নে বাঁধলেন রেজাউর রহমান রাজা। ১৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে তামিমকে ফেলেন এলবি’র ফাঁদে। টিম ‘এ’র সংগ্রহ তখন ৫৫ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে দিপুকে সঙ্গ দিতে আসেন মাহমুদুল হাসান জয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনিও তার ইনিংসকে লম্বা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৩০ রানে শরিফুলের বলে ক্যাচ তুলে দেন রিশাদ হোসেনের হাতে। পারেননি অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুবও। নামের পাশে মাত্র ১২ রান যোগ করে রাজার দ্বিতীয় শিকার বনে ফিরে যান ড্রেসিংরুমে।
১৩২ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় টিম ‘এ’। দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন আইসকুল আকবর। ওপাশে দিপুকে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় রান রথ ছোটান। এভাবে ওভার প্রতি এক, দুই, তিন, চার করে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৩৭ রান এনে দিয়ে ব্যক্তিগত ৯৭ রানে নোমান চৌধুরী সাগরের বলে কাটা পড়েন শাহাদাৎ হোসেন দিপু। উইকেটের পেছনে অঙ্কনের হাতে তুলে দেন ক্যাচ।
দিপু ফিরে গেলে পঞ্চম উইকেটে আকবরের সঙ্গে ১২০ রানের জুটি গড়ে শাহিন আলমের বলে ৬৭ রানে নিজের ইনিংসের এপিটাফ লিখে দেন শামীম পাটোয়ারি। ষষ্ঠ উইকেটে সুমন খান ক্রিজে এসে মাত্র ৪ রান যোগ করেছেন অমনি শাহিনের বলে তানভিরের হাতে বল তুলে দিলেন আকবর। তার আগে অবশ্য নামের পাশে যোগ করেছেন ১৩৬ রান। যেখানে চারের মার ছিল ২০টি ও ৬ দুটি। আকবর ফিরে গেলে মাত্র ৯ রানে শরিফুলের বলে নিজের ইনিংসের ফুল স্টপ টেনে দেন সুমন খান।
দিন শেষে রাকিবুল হাসান ২ ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাতে টিম ‘এ’র সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৪০৬ রান।
স্কোরকার্ড:
‘এ’ দল: ৪০৬/৭; (তামিম ৩৫, দিপু ৯৪, মাহমুদুল ৩০, আফিফ ১২, আকবর ১৩৬, শামীম ৬৭, সুমন ৯ রেজাউর ২)
( শরিফুল ২টি, শাহীন আলম ২টি, নোমান চৌধুরী সাগর ১টি করে উইকেট নেন)
‘বি’ দল: ২৬৬/১০ (৮০ ওভার); (ইমন ৩৫, নাঈম ৮৬, অঙ্কন ৬, মৃত্যুঞ্জয় ৫৮, হৃদয় ৪২, রিশাদ ৫, তানভীর ৮, শরিফুল ০, রাজা ১, সাগর ১*, শাহীন ২)
(সুমন ৪টি, মুরাদ ৪টি, রকিবুল ১টি এবং শফিকুল নেন ১টি উইকেট)
ফলাফল: ম্যাচ ড্র।
আকবর আলী এইচপি দল দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ নাঈম শেখ প্রস্তুতি ম্যাচ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিসিবি মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ম্যাচ ড্র