Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওডিআই’র ইতিহাসে দ্বিতীয় সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারাল জিম্বাবুয়ে


৪ নভেম্বর ২০২০ ০০:৪২

একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসের ৫৯তম টাই ম্যাচ এবং দ্বিতীয় সুপার ওভারের রোমাঞ্চের দেখা দিয়েছে পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারালেও আগের দুই ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ে সিরিজ হেরেছে রোডেশিয়ানরা। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি বাবর আজমদের জন্য আনুষ্ঠানিকতার হলেও জিম্বাবুয়ের জন্য ছিল নিজেদের আত্মমর্যাদা রক্ষার।

বিজ্ঞাপন

রাওয়ালপিন্ডিতে ওয়ানডে ক্রিকেট দেখল ইতিহাসের দ্বিতীয় সুপার ওভার। ওডিআইতে প্রথম সুপার ওভার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালে। এরপর এক বছরেরও বেশি সময় পরে এসে ক্রিকেট বিশ্ব দেখল দ্বিতীয় সুপার ওভার। আর এই সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিক পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের ডানহাতি পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি।

পড়ুন: সুপার নকে নাঈমের ফেরার আনন্দ

মুজারবানির সুপার ওভারের প্রথম বলেই উইকেট দিয়ে ফেরেন ইফতিখার আহমেদ। এরপরের দুই বলে খুশদিল শাহ্‌ এবং ফখর জামান একটি করে রান নেন, ওভারের চতুর্থ বলে খুশদিলকে বোল্ড করেন মুজারবানি। আর তাতেই জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩ রানের। জয়ের লক্ষ্যে জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্যাট করতে আসেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন টেলর এবং সিকান্দার রাজা।

তিন রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা টেলর সুপার ওভারের প্রথম বলেই রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন সিকান্দার রাজাকে, শেষ পাঁচ বলে জিম্বাবুয়ের তখ দরকার মাত্র দুই রান। ওভারের দ্বিতীয় বলটি ডট হওয়ার পর তিন নম্বর বলে ২ রান নিয়ে জিম্বাবুয়েকে জয় এনে দেন সিকান্দার রাজা।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান উইলিয়ামসের অপরাজিত শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে তোলে ২৭৮ রান। উইলিয়ামস ইনিংসে ১৩৫ বলে একটি ছক্কা, ১৩টি চারে ১১৮ রানে তুলা অপরাজিত থাকেন। এছাড়াও ৬৫ বলে ৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন ব্রেন্ডন টেলর। এদিন পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন মোহাম্মদ হাসনাইন। নিজের কোটার ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রানের খরচায় নেন ৫টি উইকেট আর বাকি একটি উইকেট নেন আরেক পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানের সামনে ২৭৯ রানের মামুলি লক্ষ্য, তবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় সংগ্রহ ৫১ হতেই ৪টি উইকেটের পতন। এরপর ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ৩৭ রানের জুটি গড়ে দলকে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন অধিনায়ক বাবর আজম। তবে ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায় ত্রিপানোর বলে বোল্ড হয়ে ইফতিখার ফিরলে আবারও চাপে পড়ে পাকিস্তান। অন্যরা যাওয়া আসার মিছিলে থাকলেও অধিনায়ক বাবর আজম উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে শতক তুলে নেন। তাকে প্রথমে সঙ্গ দেন খুশদিক শাহ্‌।

তবে দলীয় ১৫১ রানে খুশদিল ব্যক্তিগত ৩৩ রানে ফিরলে পাকিস্তানের জয়ের আশা নিভতে থাকে। কিন্তু তখনই ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন ওয়াহাব রিয়াজ, ৫৬ বলে ৫২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে বাবর আজমের সঙ্গে গড়েন ১০০ রানের জুটি। তবে জুটি ১০০ ছুঁতেই ফেরেন ওয়াহাব। এরপর ২৬৬ রানে শাহিন শাহ্‌ আফ্রিদি এবং বাবার আজম (১২৫) ফিরে গেলে জয়ের আশা আরও ক্ষীণ হয়ে যায় স্বাগতিকদের। শেষ ওভারে ১৩ রানের দরকার হলে দুই ব্যাটসম্যান ১২ রান তুলতে সক্ষম হন। আর তাতেই ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। রিচার্ড এনগারাভার করা সেই ওভারের প্রথম বলে ৪ মেরে ব্যবধান কমান মুসা। এরপর দ্বিতীয় বল থেকে এক রান নিতে সক্ষম হন তিনি। হাসনাইনকে করা তিন নম্বর বলটি ডট হলে চাপ বৃদ্ধি হয় পাকিস্তানের। এরপর এনগারাভার চার এবং পাঁচ নম্বর বল থেকে যথাক্রমে ২ ও এক রান নেন হাসনাইন। শেষ বলে জয়ের জন্য ৫ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। সেই বলে এক্সট্রা কাভার অঞ্চল দিয়ে চার মেরে ম্যাচটি টাই করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান মুসা। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ১০ ওভারে ৪৯ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন মুজারাবানি। আর দুটি করে উইকেট নেন এনগারাভা এবং ত্রিপানো।

স্কোরকার্ড:

জিম্বাবুয়ে: ২৭৮/৬ (৫০ ওভার); (উইলিয়ামস ১১৮*, টেলর ৫৬; হাসনাইন ৫/২৬, ওয়াহাব ১/৬৫)

পাকিস্তান: ২৭৮/৯ (৫০ ওভার); (বাবর ১২৫, ওয়াহাব ৫২; মুজারাবানি ৫/৪৯, ত্রিপানো ২/৩৯)

ফলাফল: জিম্বাবুয়ে সুপার ওভারে জয়ী।

ওয়ানডে ক্রিকেট দ্বিতীয় সুপার ওভার পাকিস্তান বনাম জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানকে হারাল জিম্বাবুয়ে সুপার ওভার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর