ইউরোপিয়ান ফুটবলের ২০২০/২১ মৌসুম শুরুর আগে থেকেই লিওনেল মেসিকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। সময় যতই গড়াচ্ছে বার্সেলোনায় মেসির ভবিষ্যৎ ততটাই ঘোলাটে হচ্ছে। বার্সার সঙ্গে চুক্তির শেষ বছরে থাকলেও এখন পর্যন্ত নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেননি মেসি। আর তাই তো বার্সেলোনায় মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত দলটির নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানও।
আন্তর্জাতিক বিরতির পর শুক্রবার রাতে মাঠে ফিরেছে লা লিগার খেলা। একদিন পর শনিবার রাতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে খেলায় ফিরছে বার্সেলোনাও। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে বার্সা কোচ রোনাল্ড কোম্যানকে পড়তে হয়েছে মেসি সম্পর্কিত প্রশ্নের মুখে। সেখানেই তিনি জানালেন মেসির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানেন না তিনি।
পড়ুন: গার্দিওলার চাওয়া মেসি থাকুক বার্সাতেই
কোম্যান জানান, ‘এখনও মেসি বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, তাই তাকে এই মৌসুম এখানেই থাকতে হবে। কিন্তু তাঁকে বার্সায় ধরে রাখার কিংবা নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার জন্য আমি সঠিক ব্যক্তি নই। মেসি এখনও বার্সেলোনার খেলোয়াড়, আমরা দেখবো ভবিষ্যতে কি হয়। তবে আমি আসলে জানি না মেসির ভবিষ্যতে কি আছে, আসলে কেউই জানে না মেসি ভবিষ্যতে কোথায় খেলবে।’
এর আগে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা শেষ বার্সায় ফেরার পরই এয়ারপোর্টে মেসিকে পড়তে হয়েছে নানান প্রশ্নের মুখে। সম্প্রতি বার্সেলোনার সতীর্থ অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানের পরিবারের কাছ থেকে নানান ধরনের কটূক্তি শুনতে হচ্ছে লিওনেল মেসিকে। প্রথমে গ্রিজম্যানের সাবেক এজেন্ট এরপর গ্রিজম্যানের এক আত্মীয় ইমানুয়েল লোপেস বার্সেলোনায় গ্রিজম্যানের এমন পরিস্থিতির জন্য লিওনেল মেসিকে দায়ী করেছেন। অবশেষে বার্সা অধিনায়ক এসব নিয়ে মুখ খুললেন আর জানালেন এসব শুনতে শুনতে ক্লান্ত এই কিংবদন্তি।
লোপেস এল চিরিগুইতোকে এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘বার্সেলোনায় নাম লেখানোর ছয় মাসের ভেতরেই গ্রিজম্যান বুঝতে পারে যে সে হঠাৎ করেই এখানে সফলতা পাবে না। কিন্তু আমি এটা বুঝতে পারিনি যে তাঁর এই খারাপ সময় এক বছর ধরে থাকবে। পাশাপাশি আমি জানি যে মেসিকে নিয়ে ক্লাবের ভেতর যা কিছু হচ্ছে সেসবের কারণে সফলতা পাওয়া সহজ হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেসি কঠোর পরিশ্রম করে না, আর অনুশীলনের ধরনটা সব সময় নির্দিষ্ট এক ব্যক্তিকে খুশি রাখার জন্য করা হয়। যদি তুমি কঠোর পরিশ্রম করতে না চাও তাহলে সেটা তোমার ভালোই লাগবে।’
এমন অভিযোগের বিপরীতে মেসি বলেন, ‘আমি ক্লাবের (বার্সেলোনার) সকল সমস্যার দোষী এটা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমি ১৫ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে করলাম, আর এসেই আমাকে ট্যাক্স কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে, এটা খুবই কষ্টদায়ক।’
মেসির এমন বিরক্তি প্রকাশের কারণ জানালেন কোম্যান। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি কেন মেসি এত বেশি বিরক্ত হচ্ছে। আসলে সবার উচিত মেসিকে আরও বেশি সম্মান দেখানো। এমন দীর্ঘ সময় ভ্রমণের পর ফিরেই এমন সব প্রশ্নের মুখে পড়াটা আসলেই বিরক্তিকর। আমি মেসি ও গ্রিজম্যানের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখিনি, এটা পুরোপুরিই বানোয়াট।’