রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়

দারুণ বোলিংয়ে তারকা সমৃদ্ধ জেমকন খুলনাকে দেড়শর আগেই আটকিয়ে পরে ব্যাটিংটাও ভালো হলো মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর। দারুণ এক ফিফটি করেছেন দলটির তরুণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহাম্মদ আশরাফুল কার্যকারী একটা ইনিংস খেলেছেন। সব মিলিয়ে ‘ফেভারিট’ খুলনাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে পদ্মাপাড়ের দলটির এটা টানা দ্বিতীয় জয়। দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলে একাভাবে শীর্ষে এখন রাজশাহী। খুলনার ১৪৬ রানের জবাব দিতে নেমে ১৭.২ ওভারে চার উইকেট হারিয়েই জয় নিশ্চিত করেছে রাজশাহী।

খুলনার ১৪৬ রানের জবাব দিতে নেমে রাজশাহীর ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন (২) সুবিধা করতে পারেননি আজও। তবে অপর ওপেনার নাজমুল হাসান দারুণ একটা ইনিংস খেলেছেন। তিন, চার ও পাঁচে নামা দলটির পক্ষে রনি তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে রাব্বিও মোটামুটি রান পেয়েছেন। সব মিলিয়ে খুলনাকে অনেকটা সহজেই হারিয়েছে রাজশাহী।

শান্ত ৩৪ বলে ৬টি চার ৩টি ছয়ে ৫৫ রান করেছেন। রনি তালুকদার ২০ বলে ২৬, আশরাফুল ২২ বলে ২৫ ও ফজলে রাব্বি ১৬ বলে অপরাজিত ২৪ রান করেন।

খুলনার হয়ে রিশাদ হোসেন দুই উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। সাকিব আল হাসান চার ওভার বোলিং করে ২৭ রান খরচ করে উইকেট পাননি।

এরর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৪৬ রানেই থেমে যায় খুলনার ইনিংস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শূন্য রানে খুলনার ওপেনার ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়ে দেন ফর্মে থাকা মেহেদি হাসান। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তিনে নামা সাকিব আল হাসানও (১২) ফিরেছেন একটু পরেই।

অপর দুই অভিজ্ঞ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (৭) ও জহুরুল ইসলামও (১) আজ ব্যর্থ হয়েছেন। খুলনা পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ৫১ রানের মাথায়। তারপরও দলটির স্কোর দেড়শর কাছাকাছি গেল আগের ম্যাচের নায়ক আরিফুল ইসলাম ও তরুণ শামিম হোসেনের কল্যাণে।

ষষ্ঠ উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়ে শামিম ২৫ বলে ৩ চার ২ ছয়ে ৩৫ রান করে ফিরলেও আরিফুল অপরাজিত ছিলেন শেষ অবদি। ৩১ বল খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন পেস অলরাউন্ডার। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ২টি, ছক্কা ৩টি।

রাজশাহীর হয়ে মুকিদুল ইসলাম ৪৪ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান, আরাফাত সানি ও ইবাদত হোসেন।

জেমকন খুলনা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী