অপরিনামদর্শী ব্যাটিংকে দুষলেন মিঠুন
৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৪৯
বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপে টানা চার জয়ে উড়ছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। পঞ্চম জয়টি এলেই তিন ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত হত প্লে অফ। কিন্তু হল না। ওপেনিং জুটির পর, মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারও ক্রমাগত মন্থর ব্যাটিং উপহার দিল। এতে করে প্লে অফের দুয়ারে এসে টুর্নামেন্টের প্রথম হারের স্বাদ পেল অপ্রতিরোধ্য দলটি। যে হারে স্রেফ ব্যাটসম্যানদেরই দায় দেখছেন চট্টলার দলপতি মোহাম্মদ মিঠুন।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে বেক্সিমকো ঢাকা স্কোর বোর্ডে তুলেছিল ১৪৫ রান। জয়ের জন্য ২০ ওভারে ১৪৬ রান করতে চট্টগ্রামের শুরুটা উড়ন্ত হওয়া জরুরি ছিল, কিন্তু হয়নি। জিততে ওভারপ্রতি ৭ রানেরও বেশি প্রয়োজন তা বোধ হয় তারা বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলেন!
রানের খাতা খোলার আগেই শূন্য হাতে ফিরেছেন ওপেনার সৌম্য। দলের রান তখন ১। তার ফেরায় দলের উপর যে অবর্ণনীয় চাপ ভর করেছিল লিটন, মাহমুদুলরা তা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ৩৯ বলে লিটন দাস খেললেন ৪৭ রানের ইনিংস। আর মাহমুদুল হাসান ২৪ বল খেলে নামের পাশে যোগ করলেন ২৬ রান, যা দলের চাপ সামলে উঠতে মোটেই পর্যাপ্ত ছিল না।
মিডল অর্ডারের অবস্থাও তথৈবচ। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ২১ বলে করলেন ২০ রান। পারেননি ‘ঝড়ো মোসাদ্দেক’ও। ১৬ বল থেকে সংগ্রহ করেছেন কেবল ১৩ রান। লোয়ার মিডল অর্ডারে শামসুর রহমান শুভ ও জিয়াউর রহমানও স্বরুপে জ্বলে উঠতে পারেননি। টি টোয়েন্টি স্টাইল তাদের ব্যাটে পুরোপুরি অনুপস্থিত ছিল। অনুমিতভাবেই ৭ রানের হারে মাঠ ছাড়তে হল বন্দর নগরীর দলকে।
ম্যাচ শেষে বিসিবি’র পাঠানো ভিডিও বার্তায় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কথাই জানালেন চট্টলার দলপতি।
‘বোলাররা দারুণ কাজ করেছে আবারও। আমাদের ব্যাটিং ভালো হয়নি, যে কারণে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসেনি। যেকোন উইকেটে ব্যাটিং ইউনিটের ১৪৬ রান তাড়া করা উচিত। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ভালো খেলিনি। এটা বড় কোন লক্ষ্য ছিল না। মাঝের অভারগুলোতে একটা বা দুইটা বড় স্কোর আসলে কাজটা সহজ হয়ে যেত। এখনো পর্যন্ত আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এমনটা হতেই পারে (হার)। আমরা পরবর্তী ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।’
বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টিতে ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৩ জয় ও ২ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুয়ে জেমকন খুলনা।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ বেক্সিমকো ঢাকা মোহাম্মদ মিঠুন