একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে দুটি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০ এর অধিক গোলের রেকর্ড গড়লেন নেইমার জুনিয়র। বাসাকসেহিরের বিপক্ষে স্থগিত হওয়া ম্যাচটি নেইমার জুনিয়র উদযাপন করলেন হ্যাটট্রিক করে। আর এমবাপের জোড়া গোলে ভেসে গেল বাসাকসেহির। ৫-১ গোলের ব্যবধানে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।
গতকাল আরবি লাইপজিগের কাছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হারে আগেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছিল পিএসজি। তবে অপেক্ষা ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। বাসাকসেহিরকে উড়িয়ে সেটিও হয়ে গেল লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা। এদিন ফুটবল বিশ্ব দেখল নেইমার-এমবাপের গোল উৎসব।
ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় মার্কো ভেরাত্তির অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে পিএসজিকে লিড এনে দেন নেইমার। এরপর কিলিয়ান এমবাপের অ্যাসিস্ট থেকে দ্বিতীয় গোল করে লিড দ্বিগুণ করেন নেইমার। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে নেইমারের জোড়া গোলে পিএসজি এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে। ৪০ মিনিটের মাথায় মিচেল বাক্কার আরও এক গোল করেন কিন্তু এ যাত্রায় অফসাইডের কারণে রক্ষায় পায় বাসাকসেহির।
তবে অফসাইডের কারণে বাক্কারের গোল বাতিল হলেও নেইমারকে ফাউল করায় পিএসজিকে পেনাল্টি উপহার দেন রেফারি। হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নেইমারেরই কথা ছিল পেনাল্টি নেওয়ার কিন্তু না তিনি পেনাল্টিটি দিয়ে দিলেন এমবাপের হাতে তুলে। স্পট কিক থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করলেন না এমবাপে। ফ্রেঞ্চ এই ফরোয়ার্ড গোল করে দলকে এনে দিলেন ৩-০ ব্যবধানের লিড।
দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটের মাথায় অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন নেইমার। আর পিএসজি এগিয়ে যায় ৪-০ ব্যবধানে। নেইমারের হ্যাটট্রিক পূর্ণ হওয়ার মিনিট সাতেক পর মেহ্মেত তোপাল বাসাকসেহিরের হয় একটি গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু এরপর ম্যাচের ৬২ মিনিটে ডি মারিয়ার দ্বিতীয় অ্যাসিস্ট থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এমবাপে।
এমবাপের জোড়া গোলে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পিএসজি। আর জয়টাও নিশ্চিত হয়ে যায় গেল মৌসুমের রানার্স আপদের। এই জয়ে গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচে ৪টি জয় আর দুটি হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে রাউন্ড অব ১৬’তে পাড়ি জমিয়েছে পিএসজি। পরের রাউন্ডে পিএসজির সঙ্গী হয়েছে আরবি লাইপজিগ। আর তৃতীয় হয়ে ইউরোপা লিগে নেমে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।