রান উৎসব শেষে প্লে-অফে বরিশাল
১২ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:৫০
কদিন আগে সাকিব আল হাসানের এক ওভারে চার ছক্কা হাঁকিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ। সেদিন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, তবে আত্মবিশ্বাস হয়তো পেয়েছিলেন অনেক! আজ তা কাজে লাগালেন ফরচুন বরিশালের বোলারদের বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের রাউন্ড রবিন লেগের শেষ ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরি করেছেন তরুণ ব্যাটসম্যান। টুর্নামেন্টের এটা তৃতীয় সেঞ্চুরি। তবে নাঈম সেঞ্চুরি পেলেও জয় পায়নি তার দল ঢাকা। রান উৎসবের ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে ২ রানে হেরেছে ঢাকা।
এতে সেরা দুই দলের একটি হয়ে প্রথম পর্ব শেষ করার লক্ষ্য পূরণ হলো না ঢাকার। এদিকে, জয় পাওয়া বরিশালের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে। জিতলেই প্লে-অফ, আজ দিনের অপর ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী হেরে গেলে এমন সমীকরণ ছিল বরিশালের সামনে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ দিকে পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ম্যাচের অবস্থান। ভয়ঙ্কর নাঈম যতোক্ষণ ক্রিজে ছিলেন মনে হচ্ছিল ঢাকাই জিতবে। নাঈম আউট হওয়ার পরও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ইয়াছির আলিরা। ১৯তম ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে ১ উইকেট তুলে নিয়ে ঢাকার কাজটা কঠিন করে তোলেন বরিশালের পেসার সুমন খান।
১৯৩ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিল ঢাকার। কিন্তু ওপেনিং জুটিতে পঞ্চাশ পেরুনোর পরই ১০ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ৈ বিপদে পড়ে দলটি। সেখান থেকে ইয়াছিরের সঙ্গে ১১০ রানের জুটি গড়ে ঢাকাকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান নাঈম।
শুরুতে রয়েসয়ে খেলা তরুণ ওপেনার শেষ দিকে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৬৪ বল খেলে ফিরেছেন ১০৫ রান করে। তার ইনিংসে চার ৮টি, ছক্কা ৭টি। ইয়াছির মিডল অর্ডারে ২৮ বলে ১ চার ২ ছয়ে করেন ৪১ রান। ঢাকার ইনিংস থেমেছে ১৯১ রানে। বরিশালের হয়ে সোহরাওয়ার্দী শুভ ১৩ রান খরচায় নিয়েছেন তিন উইকেট।
এর আগে তৌহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ঝড়ো দুই ফিফটিতে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল ফরচুন বরিশাল। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে অবশ্য ধীরেই এগিয়েছে বরিশাল। ধরে খেলেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও তরুণ সাইফ হাসান। তামিম ১৭ বলে ১৯ করে ফেরেন। কদিন আগে তাক লাগানো সেঞ্চুরি করা পারভেজ হোসেন ইমন তিনে নেমে ১৩ বলে ১৩ করে ফেরেন। তারপর থেকেই ঝড় শুরু।
ইমনের পরপর সাইফ হাসান যখন ৪৩ বলে ৮ চারে ৫০ রান করে ফিরলেন বরিশালের স্কোর তখন ১০২/৩। ১৪ ওভারের খেলা চলছিল তখন। তারপর আফিফ-হৃদয় দুজন মিলে মাত্র ৩৯ বল খেলে তোলেন আরও ৯১ রান!
আফিফ মাত্র ২৫ বল খেলে করেছেন ৫০ রান। তার ইনিংসে চার ১টি, ছক্কা ৫টি। হৃদয় ২২ বলে করেছেন ৫১। চার মেরেছেন ২টি, ছক্কা ৪টি। ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে এই ১৯৩ রান তোলে বরিশাল।