ঘরের মাঠে ব্রেস্তের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জিতে লিগ ওয়ানের পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। পিএসজির ডাগ আউটে নতুন ম্যানেজার মাউরিসিও পচেত্তিনোর এটি প্রথম জয়। পিএসজির হয়ে গোল তিনটি আসে যথাক্রমে ময়েস কিন, মাউরি ইকার্দি ও পাবলো সারাবিয়ার পা থেকে। কিলিয়ান এমবাপে গোল না পেলেও একটি গোলে অবদান রেখেছেন।
ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে নেইমার জুনিয়র। তবে তাতে কি? তারকা ঠাসা পিএসজি ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে ব্রেস্তের বিপক্ষে। কিলিয়ান এমবাপে, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াদের নিয়ে আক্রমণভাগ সাজান সদ্যই পিএসজির ডাগ আউটের দায়িত্ব নেওয়া মাউরিসিও পচেত্তিনো। আর অবশেষে পিএসজির কোচ হিসেবে নিজের প্রথম জয়ের দেখাও পেলেন এই আর্জেন্টাইন কোচ।
ঘরের মাঠে ব্রেস্তের বিপক্ষে লিড নিতে পিএসজি সময় নেয় মাত্র ১৫ মিনিট। তরুণ স্ট্রাইকার ময়েস কিনের দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল মার্কুইনস হেড করলে তা বারে লেগে ফিরে আসে, আর ফিরতি বল জালে পাঠিয়ে দলকে লিড এনে দেন ময়েস কিন। এরপর প্রথমার্ধে আরও কিছু দুর্দান্ত আক্রমণ করে পিএসজি কিন্তু গোল না হওয়ায় ১-০’তে লিড নিয়েই বিরতিতে যায় চ্যাম্পিয়নরা।
বিরতি থেকে ফিরে আরও বেশি আক্রমণাত্মক প্যারিসের ক্লাবটি। ম্যাচের ৬০ মিনিটে ডি মারিয়া ডি বক্সের ভেতর কিলিয়ান এমবাপেকে দুর্দান্ত এক পাস দেন। আর বল পেয়ে আরও দুর্দান্তভাবে ঘুরে বল শট করেন এমবাপে। তবে এখানে নায়ক বনে যান ব্রেস্তের গোলরক্ষক, দুঃসাধ্য এক সেভ করে দলকে ম্যাচে ধরে রাখেন। তবে ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে পিএসজির সামনে আর পাত্তায় পায়নি ব্রেস্ত।
৮১ মিনিটে ফ্রেঞ্চ মহাতারকা কিলিয়ান এমবাপের দুর্দান্ত এক পাস থেকে বল জালে জড়ান মাউরি ইকার্দি। আর পিএসজি এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। এর মাত্র দুই মিনিট পরে ব্রেস্তের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন পাবলো সারাবিয়া। আর তাতেই ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।
এই জয়ে লিগ ওয়ানের পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে পিএসজি। ১৯ ম্যাচে ১২ জয়, তিন ড্র আর চার হারে পিএসজির পয়েন্ট ৩৯। তিনে থাকা লিলের পয়েন্ট ৩৯ হলেও পিএসজি এগিয়ে গোল ব্যবধানে। আর শীর্ষে থাকা অলিম্পিক লিঁওর পয়েন্ট ৪০।