অভিষেকেই চমকে দিলেন হাসান মাহমুদ! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বল হাতে নেমেই আগুনে বোলিংয়ে একে একে তিন ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানকে ক্রিজছাড়া করলেন তরুণ এই টাইগার পেসার। যা টাইগারদের উদ্ভাসিত জয়ে অবদান রেখেছে। অভিষেক ম্যাচেই এমন জ্বল জ্বলে পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে বিস্ময় জাগানিয়া। কিন্তু তারচেয়েও বিস্ময়ের হলো, বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অর্থাৎ হাসান মাহমুদের গুরু ওটিস গিবসন এতে মোটেও অবাক হননি। বরং বিষয়টি তার কাছে প্রত্যাশিতই ছিল।
পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন এখনও পুরো ফিট হয়ে উঠেননি। সঙ্গত কারণেই তাকে নিয়ে ঝুঁকি না নিয়ে মাহমুদকে মাঠে নামিয়ে দেয় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমন্ট। বাকি গল্পটা নিশ্চয়ই স্মরণীয় হয়ে থাকবে ২১ বছর বয়সী পেসারের জন্য। গতি আর বাউন্সারের পসরা সাজিয়ে অনভিজ্ঞ ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইনআপকে ভুগিয়েছেন প্রতি ওভারেই। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে অসাধারণ বোলিং করেছেন ২১ বছর বয়সী তরুণ। ৬-১-২৮-৩ অর্থাৎ ছয় ওভার বোলিং করে মাত্র ২৮ রান খরচায় উইকেট নিয়েছেন তিনটি, একটা মেডেনও আদায় করে নিয়েছেন। তাতে যে কারোরই বিস্মিত হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যতিক্রম থাকলেন কেবল ওটিস গিবসন।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হোয়াটসঅ্যাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি একথা জানান।
ওটিস বলেন, ‘সে (হাসান) আমাকে একদমই অবাক করেনি, এজন্যই তাকে একাদশে রাখা হয়েছিল। কারণ আমরা তার উন্নতি দেখেছি। সে প্রায় গত ১২ মাস ধরেই আমাদের সাথে আছে। সে গত বছরের শুরুতে পাকিস্তানে ছিল। সে আমাদের সাথে আছে বেশ কিছু দিন হয়েছে এবং আমরা তার ভালোভাবেই উন্নতি হতে দেখেছি। সুতরাং এটি ভালো ছিল যে সে তার সুযোগ পেয়েছে এবং অভিষেকেই তিন উইকেট তার পরিশ্রমের জন্য ভালো পুরষ্কার।’
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জয় শিষ্যদের দলীয় পারফরম্যান্সের ফসল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় সেটি একটি ভালো দলগত পারফরমেন্স ছিল। কন্ডিশন আদর্শ ছিল না, পিচে টার্ন ছিল। কিন্তু আমাদের দলে সব দিক দিয়েই পরিপূর্ণ ছিল। সাকিব এবং মেহেদিকে নিয়ে স্পিন আক্রমণ এবং অবশ্যই পেসাররা। আমার মনে হয় পেসাররা ফিজ এবং রুবেল শুরুতে খুবই ভালো বোলিং করেছে। এবং হাসান মাহমুদের দারুণ অভিষেক হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আদর্শ পারফরমেন্স ছিল না কিন্তু জয়টি সিরিজ শুরু করার একটি ভালো উপায় ছিল।’