ক্যারিবিয়ানদের ফের হারিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
২২ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৪২
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের চিত্রনাট্য এগুলো প্রথম ওয়ানডের মতোই। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও আগে বোলিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে পরে সহজেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে ছয় উইকেটের জয় পাওয়া বাংলাদেশ আজ জিতেছে সাত উইকেট। তাতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা নিজেদের করে নিল তামিম ইকবালের দল।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হয়েছে ঢাকায়। তৃতীয় ম্যাচটি হবে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের তৃতীয় ওয়ানডেটা এখন শুধুই ‘আনুষ্ঠানিকতা’! সিরিজ নিশ্চিতের পাশাপাশি আজ বাংলাদেশের বড় স্বস্তি হয়তো সাকিব আল হাসানের রানে ফেরা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না সাকিব। কদিন আগে প্রস্তুতি ম্যাচে একটা ফিফটি পেলেও তার আগে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাে ছিলেন পুরো ব্যর্থ। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ব্যর্থ ছিলেন ব্যাটসম্যান সাকিব। আজ সেই আক্ষেপে কিছুটা প্রলেপ পড়েছে।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ক্যারিবিয়ানদের বেশিদূর এগুতে দেয়নি বাংলাদেশ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আগে ব্যাটিং করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৮ রানেই গুটিয়ে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসানরা।
পরে জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু করে আজও রান পাননি লিটন দাস। ২৪ বলে ৪টি চারে ২২ রান করে ফিরেছেন তরুণ ওপেনার। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত আজও ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচে ১ রান করা শান্ত আজ ফিরেছেন ২৬ বলে ১৭ রান করে। তবে তামিম ইকবাল অপর প্রান্তে অবিচল ছিলেন। তামিম ক্যারিয়ারের ৪৮ নম্বর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েই ক্রিজ ছাড়লেও ক্যারিবিয়ানদের সুযোগই দেননি সাকিব।
উইকেটে সেট হতে সময় নিয়েছেন বটে। নিজে সেট হতে হতে দলও জয়ের আভাস পাচ্ছিল। তারপর হাত খুলেই খেলেছেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ৫০ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রান করে। তার ইনিংসে চারের মার ৪টি। তামিম ফিরেছেন ঠিক ৫০ রান করে। ৭৬ বল খেলে ৪টি চার ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়েছে ৩৩.২ ওভারে।
এর আগে মেহেদি হাসান মিরাজ বোলিং জাদু দেখিয়েছেন। অনেকদিন ধরে দলে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকা মিরাজ উইকেটে বাড়তি টার্ন না থাকলে হয়তো একাদশে সুযোগই পেতান না। প্রথম ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও আজ আলো ছড়িয়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি মিরাজের স্পিন ভেলকির কারণেই। বাকি কাজটা করেছেন সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমানরা। ৪৩.৩ ওভারে ১৪৮ রানে গুটিয়ে জান ক্যারিবিয়ানরা। মেহেদি ৯.৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৫ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। সাকিব ১০ ওভারে ৩০ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। মোস্তাফিজ ৮ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।